করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত দুই হাসপাতালে কিট ও পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্টসহ (পিপিই) বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৫০ পিপিই দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী। আর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি)-এ ৫০০ কিট ও একটি থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছেন বিপ্লব বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার করোনা মোকাবিলায় গঠিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য আ ম ম মিনহাজুর রহমান প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব সরঞ্জাম পৌঁছে দেন।
চিকিৎসকরা বলছেন করোনাভাইরাস সনাক্ত করতে কীটের যে সঙ্কট ছিল তা কেটে গেছে। পিপিই সঙ্কট ও নেই। এতে সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগের অবসান হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১০০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় পূর্ণাঙ্গ আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পরিদর্শনে গেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ উপমন্ত্রীর কাছে পিপিইসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কথা তুলে ধরেন। উপমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে আরও পিপিই পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলে
বিআইটিআইডিতে করোনা শনাক্তকরণ কিটের সংকট নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিআইটিআইডির কাছে ফ্রান্সের দেওয়া ১০০ কিট মজুত ছিল। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের হস্তক্ষেপে স্বাস্থ্য অধিদফতর দুই দফায় ১১০০ কিট পাঠায় প্রতিষ্ঠানটিতে। নওফেল ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছেন ৫০টি কিট। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া আরও ৫০০ কিট সংগ্রহ করে পাঠিয়েছেন। এর ফলে বিআইটিআইডিতে এখন দেড় হাজারেরও বেশি করোনা সন্দেহভাজনের নমুনা শনাক্তের মতো কিট জমা আছে।
বিআইটিআইডি’র ল্যাবরেটরিতে দায়িত্বরত ডা. শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, বিআইটিআইডিতে প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছে, তাতে এই মুহূর্তে কিটের সংকট হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন