দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ঢাকা থেকে ট্রেনে ওঠে ভুলপথে সান্তাহার জংশন স্টেশনে এসে লকডাউনে আটকে পরা ফাতেমা বাড়িতে ফিরে গেলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে শুক্রবার দুপুরে যশোর থেকে কারগাড়ি নিয়ে ফাতেমাকে নিতে ছেলে দেলোয়ার ও প্রতিবেশী ভাতিজা সান্তাহারে আসেন। মোবাইল ফোনে যশোহর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলারের সাথে কথা বলার পর ফাতেমাকে ছেলে ও প্রতিবেশি ভাতিজার হাতে তুলে দেন তার থাকা খাওয়ার দায়ীত্ব নেওয়া সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোনে ভুট্টু। এসময় প্যানেল মেয়র মজিবর রহমান সান্তাহার টাইন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ আনিসুর রহমান আনিস উপস্থিত ছিলেন। এতে ফাতেমার ছেলে দেলোয়ার হোসেন পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ও স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি কুতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উলেখ্য গত ২৬ মার্চ ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে খুনলার ট্রেনে না ওঠে ভুলক্রমে উত্তরাঞ্চলের আন্ত ঃ নগর কুড়িগ্রাম ট্রেনে সান্তাহার জংশন স্টেশনে আসেন ফাতেমা (৭০)। পরে লকডউনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাবায় বাড়িতে ফিরতে নাপেরে আটকে পরে। তার কাছে মোবাইল ফোন নাথাকায়-ছেলে মেয়ে বা আতœীয় স্বজনদের নাম্বার ও বলতে না পারায় গত ৬ দিন যাবৎ সে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। এঘটনার সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের তার কাছে ছুটেযান স্থানীয় পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্ট্র । তার কাছে ঘটনা শুনে তার তিনবেলা খাবারের দায়ীত্ব নেন এবং পৌরসভার একটি কক্ষে থাকার ব্যাবস্থা করে লোকজকে সার্বক্ষনিক খোজখবর নেওয়ার নির্দেশ দেন। এঘটনাটি দৈনিক ইনকিলাবসহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে যশোহরের প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়র ফাতেমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ এর পর তার ছেলে তাকে নিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন