সামাজিক আচার-আচরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক জনগোষ্ঠিরই নিজস্ব কিছু আচার-আচরণ, প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন বা রীতি-রেওয়াজ রয়েছে। রয়েছে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্রতা। এসবের মধ্যে ধর্মের সম্পৃক্ততাও অস্বীকার করা যায় না। তাই সকল ক্ষেত্রে স্ব-স্ব আদর্শ ও মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়ে থাকে। প্রত্যেক জনগোষ্ঠির রয়েছে চিত্তসত্তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও তার প্রকাশভঙ্গী। নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বাঁচাতে না পারলে, সেই জাতির আত্মবিলুপ্তি ঘটতে বাধ্য। তাই সকল জাতিই নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অতি সচেতন। রোগ-ব্যাধী, সাহিত্য, চিত্রকলা ও সঙ্গীত থেকে শুরু করে পোশাক-পরিচ্ছদ, দেহসজ্জা, গৃহসজ্জা, উৎসব সবকিছুতেই সচেতনভাবে নিজস্ব সংস্কৃতিক জীবনকে ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকতে হয়। স্থানীয় ও লোকজ ঐতিহ্যের উপাদান মুসলিম সংস্কৃতিতেও আছে, কিন্তু এর অবস্থান ইসলামী ঐতিহ্যের সীমানা অতিক্রম করে নয়। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। সবকিছুতেই নিজস্ব প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-নীতি বা রীতি-রেওয়াজের অনুশীলন কাম্য। তাই সর্বক্ষেত্রে নিজস্ব সংস্কৃতির অনুবর্তী হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ইসলাম ধর্ম কেবল একটি বিশ্বাসের নাম নয়, বরং ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলাম একটি রাষ্ট্রিক চেতনা। ইসলামের আছে বিকল্প স্বপ্ন, বিকল্প রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ভাবনা, যা অনায়াসে সেক্যুলার সভ্যতার বিকল্প মডেল। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনতা ও এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জাতি। মুসলিম জনগোষ্ঠির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রথা-পদ্ধতি অন্যদের থেকে আলাদা বৈশিষ্টমন্ডিত, পরিচ্ছন্ন ও স্বতন্ত্র। বোধ-বিশ্বাস, আমল-আখলাক, আচার-ব্যবহার, জীবনধারণ, জীবন-মনন, শাসন পদ্ধতি, উৎসব-আনন্দ, জন্ম-মৃত্যু, রাজনীতি, অর্থনীতি, আইন-আদালত, ইত্যাদি সবকিছুর ক্ষেত্রেই মুসলিম জনগোষ্ঠির রয়েছে নিজস্ব প্রথা-পদ্ধতি ও আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি।
কিন্তু জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমরা একান্তই বিদেশমুখী, ইসলামকেন্দ্রিক নই। পাশ্চাত্য অন্ধ অনুগামিতারই প্রতিফলন ঘটছে আমাদের জীবনে। আমরা আমাদের স্বতন্ত্র জাতীয় আচার-আচরণ ও বিধিব্যবস্থার কথা ভাবতে পারি না। ইসলামী বিধি বিধানের প্রতি আমাদের বিরূপ মনোভাব লক্ষ করা যায়। আমাদের চিন্তা-চেতনায় কোনো স্বকীয়তা নেই। চিন্তা-ভাবনা একান্তভাবেই পশ্চিমা আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির ওপর প্রভাবাধীন। পবিত্র কোরআনকে ভিত্তি করে সমাজ ও রাষ্ট্রীক জীবন গড়ার প্রয়াস নেই। এর মাধ্যমে বিদেশি সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এতে সংস্কৃতি সম্পর্কে ইসলাম এবং মুসলমানদের বোধ-বিশ্বাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁদের উদাসিনতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এতে মনে হয়, আমরা একান্তই পাশ্চাত্যমুখী।
আমরা সর্বক্ষেত্রে যেমন বিদেশি বিধি-বিধান অনুসরণের ওপর নির্ভরশীল, সকল সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও বিদেশি প্রক্রিয়া অবলম্বনের প্রয়াস চালাই। করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। কেননা করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষায় ঘনঘন দু‘হাত সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড পরিষ্কার রাখার ওপর যেভাবে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে, তা যে ইসলামী অনুশাসনের অন্যতম একটি বিশেষ অনুষঙ্গ, তা কিন্তু একবারও বলা হচ্ছে না। এতে রোগব্যাধী ও দুর্বিপাক থেকে উত্তরণে ইসলাম এবং মুসলমানদের বোধ-বিশ্বাস ও বিধি-বিধান সম্পর্কে অজ্ঞানতা ও উদাসিনতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বৈ আর কিছু নয়। যদি নামাজ পড়ার জন্যে সকলকে তাগিদ দেয়া হতো, তাহলে হাত ধোয়ার কর্মসূচি সফল হতো সর্বাত্মকভাবে। কেননা নামাজসহ এবাদাত-বন্দেগীর সকল ক্ষেত্রে অজু করা বাধ্যতামূলক। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও অনেকে ইশরাক ও চাশতের নামাজ পড়েন। তাছাড়া অনেকে আবার সর্বদা অজু অবস্থায় থাকেন। খাবার-দাবারের আগে পরে হাত ধোয়া অবশ্য করণীয় তো আছেই। যদি প্রচার করা হতো যে, অজুসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ঈমানের অঙ্গ। তখন সকলেই বিশেষ করে সকল মুসলমান স্বতস্ফুর্তভাবে হাতধোয়াসহ পরিচ্ছন্ন থাকার প্রয়াস চালাতেন। অজুতে অবশ্য করণীয় হাত ধোয়ার কাজটি ইসলামে বিধিবদ্ধ। কেননা নামাজের জন্যে অজু করতে গেলে প্রথমেই হাত ধৌত করা ফরজ (অবশ্য করণীয়) অর্থাৎ অজুর জন্যে হাতধোয়া বাধ্যতামূলক। এই অজুর জন্যে হাত ধোয়ার অনুশীলন বহু আগে থেকে চলে আসছে। জাতিসংঘ বছরে একদিন হাত ধোয়া দিবস পালন করে থাকে। আর ইসলাম বহু পূর্বেই হাতধোয়ার অনুশীলন করার জন্যে নির্দেশ প্রদান করেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আরেকটি ব্যবস্থা কোয়ারেন্টিন। সেই ব্যবস্থার কথাও মহানবী(সা.) বহু আগেই বলে গেছেন, যেমন ‘আপনি যদি কোনো দেশে মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কথা শুনে থাকেন, তবে সেখানে প্রবেশ করবেন না; তবে যদি আপনি সেখানে অবস্থানের সময় মহামারীটি ছড়িয়ে পড়ে, তবে সে স্থানটি ত্যাগ করবেন না।’ তিনি আরো বলেছিলেন: ‘সংক্রামক রোগকে স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে।’ মহানবী (সা.) একই সাথে মানব জাতিকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এমন স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহিত করে বলেছেন, ‘পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ।’ ‘ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনার হাত ধুয়ে ফেলুন; ঘুমের সময় আপনার হাত কোথায় গেছে তা আপনি জানেন না।’ ‘খাওয়ার আগে এবং পরে হাত ধোয়ার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে।’ তিনি লোকদের সর্বদা চিকিৎসা ও ওষুধপত্র ব্যবহারের ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেছিলেন, ‘চিকিৎসা গ্রহণ করো’। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ এমন কোনো রোগ দেননি যার প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থাও তিনি দেননি। এর একমাত্র ব্যতিক্রম হলো বার্ধক্য।
মানুষের নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন মানসিকতা লোপ পাওয়ার পরিস্থিতি উদ্ভব হলে পৃথিবীতে যুগে যুগে মহামারী আকারে রোগ-ব্যাধী সংক্রমিত হয় বলে মুসলমানদের বিশ্বাস। এর বহু নজিরও আছে। প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপকর্মে লিপ্ত হয়ে বহু জাতি ও জনপদ আজাব-গজবে ধ্বংস হয়ে গেছে। আজ বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়, উন্নত-অনুন্নত অনেক দেশেই নীতি-নৈতিকতার মানসিকতা ক্রমেই লোপ পাচ্ছে। শুরু হয়েছে বিশ্বের সর্বত্র নৈতিক অবক্ষয়। অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং নগ্নাশ্রয়ী অপসংস্কৃতির পথ প্রশস্ত হচ্ছে। অপসংস্কৃতির দূষিত জোয়ারে শুধু সুস্থ সংস্কৃতিই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না, বরং ভেসে যাচ্ছে চিরায়ত মূল্যবোধ, ধ্যান-ধারণা, চরিত্র, ধর্ম ও আদর্শ। বিপন্ন হচ্ছে নৈতিক মেরুদন্ড। মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছে মন-মননে, নীতি-নৈতিকতায় ও চিন্তা-চেতনায়।
ইতিহাস সাক্ষী, একটি জাতি ধ্বংস হয়েছিল সমকামিতার দোষে দুষ্ট হওয়ার কারণে। সেই ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল নবী হযরত লূত (আ.) এর আমলে। তিনি সমকামিতা থেকে বিরত থাকার জন্যে তাঁর জাতিকে নসিহত করেছিলেন। কিন্তু সেই জাতি তাঁর নসিহত-উপদেশে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি। ফলে পরাক্রমশালী আল্লাহ কওমে লূতকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তাছাড়া নিজ নিজ অপকর্মের শাস্তি স্বরূপ ফেরাউন, নমরুদ, আ‘দ, সামুদ প্রভৃতি জাতিসমূহকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন পরাক্রমশালী আল্লাহ।
পরাক্রমশালী আল্লাহ যেই সমকামিতার অভিযোগে কওমে লূতকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি, সেই সমকামিতার পুনরার্ভিাব ঘটতে দেখা যাচ্ছে কোনো কোনো দেশে। প্রকৃতি বিরুদ্ধ এই গর্হিত কর্মকান্ডকে আইন করে বৈধতা দেয়া হয়েছে পাশ্চত্যের বিভিন্ন দেশে। তাছাড়া নগ্নতা এবং উলঙ্গতাসম্পন্ন সংস্কৃতি সেসব দেশের জীবনধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছ। বহু বড় বড় শহরে পূর্ণ নগ্ন দেহ ক্লাব গড়ে উঠেছে। মেয়ে-পুরুষ উলঙ্গ ও বিবস্ত্র হয়ে এসব ক্লাবে ঢুকে। এভাবে ঐসব দেশে নগ্নতা এবং উলঙ্গতা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নারী-পরুষের যৌন ভাবোদ্দীপক অপতৎপরতা, নগ্ন বীভৎসতা বিস্ময়াকরভাবে বেড়ে গেছে। যৌন আবেগপূর্ণ ছায়াচিত্র, নারীদের অতিমাত্রায় স্বল্প পোশাকে নৈতিকমানের অবনতি ঘটছে এবং পুরুষের সাথে তাদের অবাধ ও উচ্ছৃঙ্খল মেলামেশার উপসর্গগুলো উত্তরোত্তর বিস্তার লাভ করছে।
বিশে^র কোনো কোনো দেশে নারীদের এতোটাই স্বাধীনতা আছে যে, প্রাপ্ত বয়স্কা যুবতী তার পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো পুরুষের সাথে অবাধে মেলামেশা ও রাত্রি যাপন করতে পারে। সেসব দেশে নারী সহজলভ্য হওয়ায় পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাদের ইতিহাস কওমে লূত, ফেরাউন, আদ, সামুদ, রোম এবং অন্যান্য জাতির অনুরূপ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। নর-নারীর অবাধ মেলামেশা পুরুষরাও খুবই পছন্দ করে। আর এজন্যে নারীরা পুরুষদের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে তাদের স্বভাববিরুদ্ধ এবং প্রকৃতিবিরুদ্ধ কাজে আগ্রহান্বিত হয়।
মানুষ্যলোকে দীনতম ও হীনতম মানুষের অন্য সকলের মতো বেঁচে থাকার সমান অধিকার আছে। এই পৃথিবীর আকাশ, আলো ও বাতাসের সঙ্গে একাত্মবোধের সমান অনুভূতি আছে তাদের। নগন্যতম মানুষের বাঁচার দাবিকে উপেক্ষা করার অধিকার কারোর নেই। কারো সামান্যতম হক উপেক্ষা করা মনুষ্যত্বের পরিচায়ক নয়। কোনো মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষু্ণ্ণ করা বা অপহরণ করা চলে না। কিন্তু জিনজিয়াং, কাশ্মীর, আরাকান, ফিলিস্তিন ও ভারতে কি রাষ্ট্র ও সামাজিক ক্ষেত্রে এই মর্ম অনুভব করা হচ্ছে? বরং এখন বিশ্ব সভ্যতার মুখ থুবড়ে পড়ছে। ধুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে মানুষের বিশেষ করে মুসলমানদের সব ধরনের অধিকার। দেশে দেশে নির্মম উৎপীড়নের শিকার মুসলমানরা নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি হারাচ্ছে। অথচ মুসলমানদের পৃথক ভাষা ও সংস্কৃতি আছে। তাঁদের ইতিহাস, বীর্যবল, শিল্প, স্থাপত্য, সঙ্গীত, আইন-কানুন আছে। মুসলমানদের ভাষা ও সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শনভিত্তিক মূল্যবোধ। মুসলমানদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা ও সাংস্কৃতিক চেতনা, যা এখন অন্য সংস্কৃতিতে লীন হবার উপক্রম। নিজস্ব আদর্শ, ঐতিহ্য রীতি-নীতি ও স্বকীয়তা লালন, র্চ্চা ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মুসলমানরা দেশে দেশে।
সকল ক্ষেত্রে জাতীয় আদর্শ, ঐতিহ্য রীতি-নীতি ও সংস্কৃতি ধারণ, লালন, র্চ্চা ও অনুশীলন করা উচিত মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকের। সার্বজনীনতা তত্তে¡র আড়ালে যেকোন বিধর্মীয় প্রথা-পদ্ধতি অনুশীলনের জন্যে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহিদী জনতাকে আহবান জানানো গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করা এবং ন্যায় বিচারের প্রতীক মনে করা ইসলামে নিষিদ্ধ। মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে কল্যাণ চাওয়া মুসলিম সংস্কৃতির অংশ নয়। উৎসব হোক বা স্মৃতি রক্ষা হোক, সবকিছুতেই নিজস্ব প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-নীতি বা রীতি-রেওয়াজের অনুশীলন কাম্য। ইসলামী আইনের প্রতি ধর্মগত বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের কারণে মানুষ স্বশাসিত হয়।
মানুষের জীবনে বহু সংকট আসে। কিন্তু তারা যদি স্বীয় আদর্শ প্রবহমান রাখে, তা হলে সাময়িক বিপর্যয় ঘটলেও তারা আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। তার অনেক নজির আছে। তবে জাতীয় আদর্শ, ঐতিহ্য রীতি-নীতি ও স্বকীয়তা বিরোধী পশ্চিমা নগ্নাশ্রয়ী নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সম্বলিত অপসংস্কৃতির পথ রুদ্ধ করতে হবে। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম ইসলাম নির্দেশিত নৈতিকতা ও শালীনতার দ্বারা সদভ্যাস গড়ে তুলে নারী-পুরুষের ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক কল্যাণ সাধনের পথ প্রশস্ত করতে হবে। অবাধ মেলামেশার বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে তরুণ-তরুণীদের বাঁচাতে নির্মল, পবিত্র, স্বচ্ছ, নির্দোষ এবং নিজস্ব আদর্শের আলোকে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তুলতে হবে।
লেখক: ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন