করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যখন দেশব্যাপী লকডাউন চলছে তখন ঢাকামুখী গার্মেন্ট শ্রমিকদের ঢল নামায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে দেশের সচেতন নাগরিকদের মাঝে। শনিবার ঢাকামুখী জনশ্রোতের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এই সমালোচনা শুরু হয়। এনিয়ে সরকারের উদাসীনতার কঠোর সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি ছুটি বাড়িয়ে ৪ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত করা হলেও গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানার শ্রমিকের জন্য ছুটি বাড়েনি। এ জন্য রোববার কর্মস্থলে যোগ দিতে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ করোনা আতঙ্ক নিয়েই কর্মস্থলে ছুটছেন। শনিবার দুপুরের পর থেকে কর্মমুখী মানুষের ঢল নামে। করোনা আতঙ্ক মাথায় নিয়েই সবাই ছুটছেন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘দেশে লকডাউন বলে কি কোন বস্তু আছে? যদি থেকে থাকে তাহলে এভাবে মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে কি করে? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোথায়? সরকারি ইঙ্গিত না থাকলে লকডাউন এর মধ্যে কিভাবে রাজপথ ধরে এত লোক আসতে পারছে?’’
ইস্রাফিল ফরাজি লিখেছেন, ‘‘সরকার যদি এই সকল শিল্পখাত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে এই লোক দেখানো লকডাউন বন্ধ করুন। এই তামাশা মানুষ আর দেখতে চায় না। সবাই যার যার কাজে চলে যাক, করোনা টেস্ট বন্ধ করে দিন, উপসর্গ নিয়ে মানুষমারা যাক। কোন জবাবদিহি থাকবে না।এক দিকে গণপরিবহণ বন্ধ অপরদিকে খুলে দিয়েছে গার্মেন্টস কারখানাগুলো। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পোশাকশ্রমিকরা পা হেটে ও ট্রাকে করে ঢাকায় ফিরছেন এর একটাই কারন কাজে যোগদান না করলে বেতন মিলবে না।’’
মো. আব্দুর রহমান লিখেছেন, ‘‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ৫০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা বাজেট থাকা সত্ত্বেও এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরি চালু করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নয় কি? জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকাটা অত্যাবশ্যকীয় নতুবা গোটা দেশবাসিকে এর চরম খেসারত দিতে হতে পারে.....। ঢাকাগামী মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখে মনে হচ্ছে জীবনের চেয়েও জীবিকার মূল্য বেশি।’’
শাহেদুর রহমান সজিব লিখেছেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে কারখানা গুলা খুলবে আর মানুষ গুলা তাদের, চাকুরী বাচাতে ছুটে আসছে এই খানে দোষ মালিক গুলার। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।।আর উপর মহলের নির্দেশনায় ও ভুল আছে।’’
তন্ময় হাওলাদার লিখেছেন, ‘‘গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের মানুষ মনে করে না। বর্তমানে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তারা কিভাবে কর্মস্থলে যোগদান করবে এ বিষয়গুলো আসলে চিন্তা করা উচিত। আমি মনে করি এই পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ করা উচিত। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে আরো বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।আশা করছি সরকার এ বিষয়ে নজর দিবেন এবং খুব শিগগিরই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’’
হোসাইন মোহাম্মাদ লিখেছেন, ‘‘নামাজ পড়তে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে আর গার্মেন্টস কারখানা সব খুলে রেখেছে,, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে,, ভয়াবহ রকমের বিপদ আসন্ন।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন