করোনাভাইরাস সংক্রম প্রতিরোধে চলছে সাধারণ ছুটি। একই সাথে বাংলাদেশ দোকান মালিক ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে ওষুধ, সংবাদপত্র ও মুদিমালের দোকান ছাড়া শপিংমল, মার্কেট থেকে শুরু করে ছোটবড় সব দোকানই বন্ধ। সশস্ত্রবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে বিনাকারণে সাধারণ মানুষের বাইরে বের হওয়া কিছুটা কমেছে ঠিকই। তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। গেলো দশদিনের মধ্যে রোববার কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, মোগলটুলি, ছাতিপট্টি, গোয়ালপট্টি, কাপড়িয়াপট্টি, কাশারিপট্টি মোড়, চকবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড, চকবাজার মাদরাসা সড়ক, টমছমব্রীজ, আশ্রাফপুরসহ বেশ কটি এলাকার রাস্তায় হঠাৎ বেড়ে গেছে লোকজনের চলাচল। খুব বেশি প্রয়োজনের বাইরেও সামান্য অজুহাতে ঘরের বাইরে রাস্তায় ঘুরাফেরা করছেন অনেকেই। রোববার দিনভরের এমন চিত্রে যেসব মানুষ প্রয়োজনে বের হয়েছেন তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রোববার সকাল থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যেখানে সেখানে ঘোরাফেরা করছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না বেশিরভাগই। যতক্ষণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটরিং করে, ততক্ষণ একটু আড়ালে থাকে লোকজন। পরে আবারও আড্ডা দিচ্ছেন অলিগলিতে। একই অবস্থা দেখা গেছে নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতেও। আবার ব্যাংক খোলা থাকায় সবকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সামনে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাও ছিল বেশি। রাস্তায় বের হওয়া অনেকের সাথে কথা বলে বুঝা গেছে তাদেও বেশিরভাগই সামান্য অজুহাতে বাইরে বের হয়েছেন।
এদিকে নগরীর রাস্তাঘাটে চলাচলে সবাই মাক্স ব্যবহার করলেও রিকশা, সিএনজি, অটো রিকশায় চড়তে কেউই দুরত্ব বিধি মানছেন না। রাজগঞ্জ, চকবাজার, টমছমব্রীজ, রাণীর বাজার, বাদশা মিয়ার কাঁচা বাজারেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে একে অন্যের তিন থেকে চার ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সে প্রবণতা তেমন দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু দোকানের সামনে নিরাপদ দূরত্বের জন্য চিহ্ন দেখা গেছে। কেউ কেউ তা মানার চেষ্টাও করছেন। চকবাজারের এক মুদি দোকানি বলেন, সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। ক্রেতাদেরও বলি দুরত্ব বজায় রাখার জন্য। কিন্তু কেউ শুনে কেউ শুনেনা। বেশি জোর দিলে তো কাস্টমার অন্য দোকানে চলে যাবে। বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি ও কুমিল্লা জার্নালিষ্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু বলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজকে (রোববার) নগরীর রাস্তায় বেশি মানুষ নেমেছেন। এভাবে মানুষের আনাগোনা বেড়ে গেলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিও বাড়বে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন