রাজশাহীতে শুরু হয়েছে অঘোষিত ‘লকডাউন’। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাজশাহীতে প্রবেশ করতে বা বের হতে দেয়া হচ্ছে না। সোমবার দুপুর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এমন কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ শুরু করেছে। । এছাড়াও দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে যে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে জরুরি সেবা বাদে রিকশা ও মোটর সাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিেেয় জরুরী সভার আয়োজন করা হয়। লোকজন যে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের না হয় এবং রাজশাহীতে প্রবেশ ও বের হতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি বাস্তবায়নে আইনশৃংখলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সভায় সভাপত্বি করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ূন কবির। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এসএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী বিভাগয়ি পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জনাব জামিলুর রহমান, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা: মহা: এনামুল হকসহ সকল বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বের হয়ে এমপি ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন সর্বোত্তম পন্থা তা প্রমান হয়েছে। আমরাও সেদিকে যেতে চাই। আজ থেকে রাজশাহীতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বা বের হতে পারবে না। খাবার ও ঔষধের যানবাহন ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলবে না বলেও জানান।
রাজশাহী সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, গত মার্চ মাসে রাজশাহীতে বিদেশ থেকে এসেছে দুই হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত রাজশাহীতে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয় এক হাজার ১০৫ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৯৪ জন। আর ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৮১১ জনকে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী নগরে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয় সাতজনকে। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন