চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসেই পাহাড়ি জমিতে হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল (শুক্রবার) সকালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার ও অধ্যক্ষের বাংলো সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।
পরিদর্শন শেষে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখানে পর্যাপ্ত জমি আছে। পাহাড়ের উপর বিশ্ববিদ্যালয়টা করলে তা দৃষ্টিনন্দন হবে। পাহাড় সুরক্ষা করে পাহাড়ের উপরে একটা দৃষ্টিন্দন বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। পাহাড়ি এলাকার পরিবেশ ও গাছপালা ঠিক রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানান গণপূর্তমন্ত্রী।
পরিদর্শনে উপস্থিত বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খান বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলের মোট জমির পরিমাণ ৭৮ একর। ক্যাম্পাসেই ১৫ একর খালি জমি পাওয়া গেছে। এখানে সুন্দরভাবে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ সম্ভব। কলেজ ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মিত হলে তা শিক্ষার্থী ও চিকিৎসাসেবা প্রার্থী- সবার জন্যই ভালো হবে বলে মনে করেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মুজিবুল হক খান।
এর আগে ১ জুলাই স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চট্টগ্রাম মেডিকেল ক্যাম্পাসেই বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের ঘোষণা দেন। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, চট্টগ্রামের সন্তান গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের তত্ত¡াবধানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হবে।
পরিদর্শনের সময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, প্রকৌশলী ও স্থাপতিরা বিবেচনা করে তাদের পর্যবেক্ষণ জানাবেন। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, এ হাসপাতালের ধারণক্ষমতা মাত্র ৫০০। এটাকে আমাদের উন্নীত করতে হবে দুই হাজার থেকে চার হাজারে। সুতরাং আমরা এটার ক্ষমতা বৃদ্ধি করব এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গেলে আমাদের পুরনো যে ভবনগুলো আছে সেগুলো ভেঙে ২০ তলা পর্যন্ত করব।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন সরফরাজ খান, স্বাচিপ চট্টগ্রামের আহŸায়ক ডা. শেখ সফিউল আজম, বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শরীফ ও স্বাচিপ মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাহমুদ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন