করোনার প্রভাবে দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে স্বাগত জানান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম। গতকাল তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ প্রসঙ্গে বলেন, এই প্যাকেজকে প্রাথমিক ভিত্তি ধরেই সরকারকে আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। কেননা অর্থনীতির সব খাত করোনার ধকলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি ও বিপর্যয় নেমে আসবে।
তিনি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনায় বলেছেন, প্রবাসী যোদ্ধাদের বিশাল কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র, আয় তথা রেমিট্যান্স খাতকে অবিলম্বে পরিকল্পিত উপায়ে সুরক্ষা দিতে হবে। সেই সঙ্গে দেশের কৃষক-খামারিসহ গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ৪ কোটি গরীব প্রান্তিক উৎপাদক গোষ্টিকে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনে গতিশীল রাখাটা এ মুহূর্তে জরুরি। তাদের স্বার্থক্ষায় প্রণোদনা প্যাকেজ সম্প্রসারণ করা ছাড়াও সরকারকে পরবর্তী আরো অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে সময়ের প্রয়োজনেই।
দেশে নিট বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধানতম খাত প্রবাসী যোদ্ধাগণ অর্থাৎ তাদের রেমিট্যান্স। একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের বৈশি^ক মহামারী পরিস্থিতির মুখে আজ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে কর্মরত বাংলাদেশী প্রবাসীগণ স্বাস্থ্যঝুঁকি, শ্রমসঙ্কট, আয়-রোজগার, কর্মসংস্থান হারানোর ভয় অর্থাৎ বেকারত্বের ঝুঁকিসহ নানাবিধ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছেন।
এতে করে প্রবাসী আয় এবং দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ সঙ্কুচিত হয়ে আসার নেতিবাচক ধারা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এ বিপর্যয় মোকাবেলায় সরকারকে প্রবাসীদে পাশে দাঁড়াতে হবে। ওদের মনোবল অটুট ও সর্বোতভাবে আশ^স্ত রাখতে হবে সুনির্দিষ্ট প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েই।
তার আশঙ্কা, করোনার প্রভাবে আগামী কয়েক মাসের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধির হার এক শতাংশ হ্রাস পাবে। পরবর্তী এক বছরে প্রবৃদ্ধির হার ২ থেকে ৩ ভাগ হ্রাস পেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে শুধু প্রণোদনা নয়, সরকারের সামনে আরও বড়সড় চ্যালেঞ্জ আসবে একের পর এক। সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ দেশের অর্থনীতিতে করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে বলেই তিনি আশাবাদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন