করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রশাসন প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে তৎপর রয়েছে। তা সত্বেও নোয়াখালীর হাটবাজারে লোকজন দিব্যি আরামে ঘুরাফেরা করছে।
শুধু জেলা শহর নয়, গ্রামগঞ্জ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাটবাজারগুলোতেও একই অবস্থা। কেউ কারো কথা শুনছে না। পুলিশ রাস্তায় নেমে হালকা লাঠিপেটা করছে। কিন্তু পুলিশ চলে যাবার পর ফের হাটবাজার ও সড়কে লোক সমাগম আগের মতোই ঘটছে।
হাটাবাজার ও সড়কে যারা অকারণে ঘুরাফেরা করছে, তাদের অধিকাংশের মাস্ক, গø্যাভস কিছুই নেই। কোনো কারণ ছাড়াই এরা রাস্তায় আড্ডা জমিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও মিডিয়ার ব্যাপক প্রচারণা তারা কর্ণপাত করছে না।
প্রবাসী অধ্যূষিত নোয়াখালীতে এ পর্য্যন্ত করোনারোগী পাওয়া না গেলেও জনসাধারণ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত দেড় মাসে প্রায় দেড় লক্ষাধিক প্রবাসী বাড়িতে আসে। এদের অধিকাংশ ঘর বাড়িতে অবস্থান করলেও অনেকে সরকারি নির্দেশ মানছে না।
জানা যায়, ইতালি, স্পেন ও আমেরিকায় ৫৫দিন পূর্বে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং এর প্রায় দেড়মাস পর করোনাভাইরাস মহামারী আকারে রূপ নেয়। প্রায় সর্বক্ষেত্রে উন্নত এসব দেশ বর্তমানে করোনায় নাকাল। অথচ আমাদের দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় লকডাউন আরো অন্তত একমাস বৃদ্ধি এবং সড়ক ও হাটবাজারে লোক সমাগত ঠেকাতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছে এলাকার সচেতন মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন