রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ধারণক্ষমতা ছুঁইছুঁই

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যজট অব্যাহত রয়েছে। এখন বন্দরের সবক’টি ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণক্ষমতা ছুঁইছুঁই করছে। আমদানি পণ্যের একমুখী প্রবাহে কন্টেইনার খালাসই হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সমগ্র দেশে সড়ক মহাসড়ক নৌপথে পরিবহন ব্যবস্থা অচল, শিল্প-কারখানাসহ সবকিছু টানা ছুটিতে অঘোষিত শাটডাউনে বন্ধ। এরফলে বন্দর থেকে গার্মেন্টসহ শিল্প-কাঁচামাল, নিত্য ও ভোগ্য পণ্যসামগ্রী ডেলিভারি পরিবহন হচ্ছে না। বন্দরে প্রতিদিনই জমছে আমদানি পণ্যের একমুখী প্রচুর মজুদ। ছয়টি ট্রেনে অগ্রাধিকার ও খুব সীমিত আকারে চিকিৎসাসহ জরুরি সেবাখাতের পণ্যসামগ্রী ঢাকা আইসিডিতে পরিবহন করা হচ্ছে। 

এ মুহূর্তে বন্দরজট পরিস্থিতি জানতে চাইলে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের সব ইয়ার্ড মিলিয়ে এখন মোট ৪৪ হাজার ৮৮৯ টিইইউএস কন্টেইনারের মজুদ জমে গেছে। আর স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার একশ’ টিইইউএস। তাছাড়া আরও আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রী নিয়ে বন্দরে আসা কন্টেইনার বোঝাই ৮টি জাহাজের খালাস কার্যক্রম চলছে। জেনারেল কার্গো বার্থে খোলা সাধারণ আমদানি মালামাল খালাসের কাজ হচ্ছে আরও ৬টি জাহাজে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জট সামাল দেয়ার জন্য চলমান ছুটির মধ্যে কন্টেইনার খালাস ডেলিভারি নেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ স্টোর রেন্ট (বন্দর মজুদচার্জ) ছাড় ঘোষণা করেছে। গতকাল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহণ বিভাগ বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বন্দর ব্যবহারকারী তথা স্টেক হোল্ডারদের আমদানি কন্টেইনার ডেলিভারি গ্রহণে শতভাগ স্টোর রেন্ট ছাড় সুবিধার এ বিষয়টি জানিয়ে দেয়।
ছুটির মধ্যেও সার্বক্ষণিক সচল থাকা বন্দর থেকে লরি-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব আমদানি পণ্যসামগ্রী শতভাগ স্টোররেন্ট অব্যাহতি নিয়ে দ্রুত ছাড়করণ ও ডেলিভারি গ্রহণের সুযোগ নেয়ার জন্য বন্দর ব্যবহারকারী বা স্টেক হোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। ২৭ মার্চ থেকে কন্টেইনার পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে এই ছাড় সুবিধা কার্যকর হচ্ছে। বন্দর ব্যবহারকারীগণও স্বাগত জানান শতভাগ স্টোর রেন্ট ছাড়ের এ ঘোষণাকে।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ড এফ এজেন্টস, বিজিএমইএ, অফডক (বেসরকারি আইসিডি) মালিক সংগঠন-সমিতিসহ বন্দর ব্যবহারকারীগণ শতভাগ স্টোর রেন্ট ছাড়ের এ ঘোষণায় সন্তুষ্ট।
তারা বলেছেন, পরিবহন চলাচলে ও বন্দরের পণ্যবাহী কন্টেইনার খালাস কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শ্রমিকদের যাতায়াত যাতে বিঘিœত না হয় কর্তৃপক্ষকে তাও নিশ্চিত করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন