শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বরিশালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার মেশিন চালু

৩টি উপজেলায় কয়েকটি বাড়ী লকডাউন হোম কোয়ারিন্টিনে ৩,১৮৯

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৫:১০ পিএম

বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে অবশেষে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ‘পলিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর)’ মেশিনটি পরিক্ষামূলক ভাবে চালু করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় জনবলও ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর রক্তের পিসিআর মেশিনে পরিক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মেশিনটি দিয়ে পরিক্ষামূলকভাবে রক্তের নমুনা পরিক্ষা করা হলেও শণিবার থেকে পরিপূর্ণ পেশাদারীভাবে কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে বরিশারেল উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জে করোনা লক্ষনের দুজন রোগী পাবার পরে ঐ দুটি এলাকার বাড়িগুলো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বরিশাল মেডিকেলে শ^াসকষ্ট নিয়ে মৃত মো. ইউসুফ আলীর সদর উপজেলার রাঢ়ীমহল গ্রামের বাড়িটিও প্রশাসন লকডাউন করেছে। মহানগরীর পলাশপুরের ফল ব্যাবসায়ী আব্দুর রশিদ বেপারী (৬০) উজিরপুর পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালতলা কালিরবাজার এলাকার নিজ বাড়ীতে যাবার পরে জ¦র-গলা ব্যথার উপসর্গ দেখা দেয়। খবর পেয়ে ইউএনও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নিয়ে সেখানে গিয়ে রশিদকে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে প্রাথমিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন। আশেপাশের ৫ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে এক রোগীকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরনের পর ৪টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার পাদ্রিশীবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ফারুক খলিফার স্ত্রী আমেনা বেগম করোনার উপসর্গ নিয় গত কয়েকদিন যাবত নিজ বাড়িতে রোগে ভুগছিলেন।

এদিকে বুধবারও দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আরো ৩১ জন হোম কোয়ারিন্টিনে যূক্ত হবার মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা ৩ হাজার ১৭৯-এ উন্নীত হয়েছে। তবে এসময়ে নতুন করে ১৮৯
জন সম্পন্ন করার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে ৩ হাজার ১ জন সুস্থ্যবস্থায় হোম কোয়ারিন্টিন শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল শের এ বাংরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৮ জন ও পিরোজপুরে আরো একজন চিকিৎসাধীন ছিল। এদের রক্তের নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআর-এর পাঠান হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এসব রোগীদের প্রায় সবার অবস্থাই ভাল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। বুধবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় ভোলা সদর হাসপাতালের আসোলেশন ওয়ার্ড থেকে সুস্থ্য হয়ে দুজন বাড়ী ফিরেছেন।

এদিকে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে অঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতি বুধবারও অব্যাহত ছিল। অন্যসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মুদি দোকান ও কাঁচা বাজার সিমিতাকারে খোলা রাখা হচ্ছে। রাস্তায় চলাচলও নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো সিমিত সময়ের জন্য খোলা রাখায় টাকা তোলা গ্রাহকদের ভীড়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছে না। বিভিন্ন এলাকায় সিমিত কিছু ত্রান বিতরন করা হলেও নি¤œ বিত্ত পরিবারগুলোর দুরবস্থা এখনো সব বর্ণনার বাইরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
**হতদরিদ্র দিনমজূর কহে** ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৫:২৫ পিএম says : 0
নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করুন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন