পঞ্চগড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। জেলার সকল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
জেলার পাঁচটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভা সরকারিভাবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৩৪৫ জন কর্মহীন, শ্রমজীবী ও অসহায় পরিবারকে ৩৪৪ মেট্রিক টন চাল এবং ২৬ হাজার ৪৫৫টি পরিবারকে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নিজস্ব উদ্যোগে এবং কেউ কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
সপ্তাহে তিনদিন জেলা শহরের ৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন ছয় মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলায় ৯২ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫০ হাজার ৪৬৬ জন কার্ডধারী হতদরিদ্রকে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এরা আগামী আরো দুই মাস এ সুবিধা পাবেন।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৫৫ হাজার ২৯৩ জনকে ভাতা দিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন এক হাজার ৯৫৭ জন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সদ্রাট বলেন, সবার বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দৃশ্যমান কোন ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছি না।
জেলা প্রশাসক সাবিনা জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। এজন্যই দৃশ্যমান ত্রান তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। জেলার সকল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। কোন মানুষেরই খাদ্য সংকট হবে না। যারা কোন খাদ্য সহায়তা পাননি তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সেখানে ফোন করলে খাদ্য সহায়তা বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন