টাঙ্গাইলের সখিপুরে এ পর্যন্ত ১৯জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ১৫জনের ফলাফল প্রতিবেদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে। এদের কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার পাঠানো ৪ জনের নমুনার ফলাফল প্রতিবেদন এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ আসমা আক্তার জানান, গত ২ এপ্রিল সর্বপ্রথম মুজিব কলেজের আইসোলেশনে থাকা হতেয়া গ্রামের এক কারখানার শ্রমিক আলী আজম ও ওই শ্রমিককে বহনকারী ভ্যানচালক শাহীনুরের নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা মেডিকেল টিম। এরপর থেকে প্রতিদিনই কমপক্ষে দু;জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৯জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫জনের ফলাফল পাওয়া গেলেও কারও শরীরে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব পায়নি আইইডিসিআর। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দিঘীরচালা গ্রামের স্কুল শিক্ষক শামসুল হক জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেলেও পরীক্ষায় তাঁর শরীরেও করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার নমুনা আজ শনিবার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহআলম ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রফিকুল ইসলামের দেহ থেকে সংগ্রহ করা নমুনার রিপোর্ট আগামীকাল রোববার পাওয়া যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এরা দু’জনই ঢাকা গিয়ে ঘুরে আসায় এদেরকে সরকারি মুজিব কলেজ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিইনে রাখা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সোবহান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। সখিপুরে এ যাবত ১৯জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হলেও রিপোর্ট এসেছে ১৫জনের। আল্লাহর রহমতে সখিপুরে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন