মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অনিরাপদ পথ, এক রাতে নিহত ২

মহসিন রাজু,বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৪:১৪ পিএম

লকডাউন পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল গামী পথ ঘাট এখন চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে।
শনিবার রাতেই এই মহাসড়কে টাঙ্গাইলে একজন এবং বগুড়ায় আরেকজন ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে।
টাঙ্গাইলের কালিয়াকৈর থানা এলাকায় নিহত যুবকের নাম রাশেদ মিয়া (৩২ )।
সে গাজীপুরের একটি ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা।
শনিবার রাতে তার কাছে খবর আসে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের
করমজা গ্রামে বসবাসরত তার বাবা রমজান আলী মারা গেছেন।
খবর পেয়ে সে গাজীপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে আসলেও চন্দ্রাা থেকে গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই কালিকৈর পর্যন্ত আসে।
এখানেই পড়ে ছিনতাইকারীদের পাল্লায়। মোবাইল ফোন ও মানি ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার সময় বাধা পেয়ে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
রাতেই এখবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার এস আই মনিরুজ্জামান রাশেদের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য গাজীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এছাড়া রাশেদের কাছে পাওয়া পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্তর মোবাইল নম্বরে ফোন করে তার মারা যাবার খবরটা জানিয়ে দেন এস আই মনিরুজ্জামান।
খবরটি জানাজানি হলে পুরো ইউনিয়ন জুড়েই শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রোববার সকালেই নিহত ছেলেকে ছাড়াই দাফন করা হয় বাবার লাশ।
বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শান্ত ইনকিলাবকে জানান, তখনও রাশেদের লাশ পাকুল্লায় এসে পৌঁছেনি। তবে বাবার কবরের পাশেই ছেলের কবর খোঁড়া রয়েছে লাশ আসলে জানাজার পর দাফন করা হবে।
নিহত রাশেদের বাবা রমজান আলী বিএনপির একজন স্থানীয় নেতা ছিলেন।
তার ও তার ছেলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, বিএনপি নেতা ও জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী।
তিনি নিহত রাশেদের হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার এবং রাস্তাঘাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে অপর একটি ঘটনায় বগুড়া সদরের তিন মাথা রেল গেইট এলাকা থেকে রোববার ভোরে ছুরিকাঘাতে নিহত এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে শজিমেক মর্গে পাঠিয়েছে।
উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা জানায় নাম পরিচয় বিহীন এই যুবকটি হয়তো ভেঙে ভেঙে নিজ গন্তব্যে যাবার সময় উল্লেখিত স্থানে ছিনতাইকারীদের পাল্লায় পড়ে তাদের ছুরিতে মারা গেছে।
তবে এই ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গেছে কর্মহীন, ভবঘুরে ও মাস্তান সন্ত্রাসীরা লক ডাউন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাস্তা ঘাটকে অনিরাপদ করে তুলেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন