বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অাত্মস্বীকৃত অন্যতম খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তার লাশ তার গ্রামের বাড়ি ভোলার দাফনের কথা থাকলেও সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের প্রবল আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত শশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দাফন করা হয়েছে বলে জানা জায়।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয় কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে। এটিই এই কারাগারে প্রথম ফাঁসির ঘটনা। এদিকে গত
শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি (বরখাস্ত) ক্যাপ্টেন মাজেদের লাশ ভোলার মাটিতে না এনে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার দাবি জানান ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। ভোলা ২ অাসনের সাংসদ অালী অাযম মুকুলও একই দাবী করেন। একই দাবি করেন ভোলার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আরও কয়েকজন নেতা ও স্থানীয়রা।
গত ৮ এপ্রিল মৃত্যর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান খুনি আব্দুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ হলে শুক্রবার রাত ১২.১ মিঃ তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ তৎকালীন সংসদ সদস্য তোফায়েল অাহমেদের এপিএস শফিকুল ইসলাম মিন্টুকেও হত্যা করেছিল এই খুনি মাজেদ। তবে কি কারনে বা কোথায় রয়েছে তার বাবা সে খবর মিন্টুর পরিবারের কাছে অাজও অজানা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন