শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সামাজিক সংক্রমণের পথে চট্টগ্রাম!

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের এলাকাভিত্তিক সংক্রমণে রূপ নিয়েছে। মানুষের ঘরে থাকা পুরোপুরি নিশ্চিত করা না গেলে সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। 

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত শনাক্ত নয় রোগীর বেশির ভাগের বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে আসার কোন তথ্য মেলেনি। তারা লোকাল বা এলাকাভিত্তিক সংক্রমণের শিকার। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির মতে চট্টগ্রামে মৃদু সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, গুচ্ছ সংক্রমণ বলতে যেটা বোঝায় সেটা তেমন প্রবল নয়।
এদিকে করোনা রোগী নিয়ে এখনও লুকোচুরি চলছে। সাতকানিয়ায় এক রোগীর কারণে ৩৪২টি বাড়ি লকডাউন করতে হয়েছে। হোমকোয়ারেন্টাইনে গেছেন চিকিৎসক, নার্সসহ অনেকে। বিপুল প্রবাসী অধ্যুষিত চট্টগ্রাম এমনিতেই করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকিতে আছে। তার ওপর নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তা ও হাটবাজারে নেমে আসা এবং জনসচেতনতার অভাবে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে এ পর্যন্ত ৫৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নয় জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। একজন নমুনা পরীক্ষার আগে গত বৃহস্পতিবার মারা যান। বাকি আটজন দুটি হাসপাতালে আছেন। তাদের অবস্থা ভালোর দিকে বলে জানান সিভিল সার্জন। প্রথম আক্রান্ত পিতা-পুত্রের বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে যাওয়ার তথ্য থাকলেও বাকিদের ক্ষেত্রে তা নেই। আক্রান্তদের মধ্যে দুই জনের ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে আসা যাওয়ার তথ্য আছে।
বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী বলেন, আক্রান্তদের বেশিরভাগ সামাজিক সংক্রমণের শিকার। অর্থাৎ লোকাল ট্রান্সমিশন পেরিয়ে চট্টগ্রাম এখন সামাজিক সংক্রমণের স্তরে পৌঁছেছে। এটা ঠেকাতে হলে মানুষকে কোনোভাবেই একত্র হতে দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে বাজার বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাতকানিয়ায় করোনা উপসর্গ থাকার পরও এক রোগী নিয়ে স্বজনদের বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটির কারণে বিপাকে কয়েকশ’ মানুষ। তাদের মধ্যে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক, নার্সও রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন