করোনার প্রভাবে আজ আমরা স্বার্থপর। করোনায় মৃত রোগীরা মসজিদের খাটিয়াটাও পাচ্ছেনা। করোনা ভাইরাস বিপর্যস্ত করে তুলেছে সারাবিশ^বাসীকে। ইতিমধ্যে করোনাকে বৈশি^ক মহামারি হিসাবে ঘোষণা করেছে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা। সর্বশেষ সোমবার পর্যন্ত দেশে ৮০৩ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৩৯ জন। প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর ও মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যে সারাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। মহামারী করোনা রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। ভাইরাসটি অতিমাত্রার ছোঁয়াছে হওয়ায় আতঙ্ক আরো বেশি ছড়িয়েছে।
ঠিক এমন এক দুঃসময়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ঘোষনা দিয়েছেন, কেউ করোনা উপসর্গের রোগী বা মরদেহ বহন করতে না চাইলে আমি নিজেই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতাল বা বাড়িতে পৌছে দেব। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উদ্যোগের কথা জানানোর পর সাংসদ আনারের প্রসংশায় মেতে উঠেন সবাই। পোস্টটি দেওয়ার সাথে সাথে সাধুবাদ জানায় নেটিজেনরা।
এর আগেও এই তরুণ সাংসদ এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে সড়ক দূর্ঘটনার রোগীদের হাসপাতালে পৌছে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। বর্ষার কাদাপানির মধ্যে এক প্রবাসির মরদেহ বাড়িতে পৌছে দেন এই সাংসদ।
রোববার করোনার উপসর্গ নিয়ে কালীগঞ্জে নিহত ব্যক্তির দাফনের কাজে গ্রামের কেউ সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসেনি। এমনকি গ্রামের কেউ কবর খুড়তেও আসেনি। পরে কালীগঞ্জ থেকে যাওয়া বিশেষ টিমের সদস্যরা নিহতের পরিবারের দু’জনের সহযোগীতায় কবর খোড়ে। এরপর গ্রামের মসজিদে খাটিয়া না দেওয়ায় মাটিতে রেখে জানাযার নামাজ পড়ানো হয়।
এ হৃদয় বিদারক ঘটনার পর ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার সোমাবর তার ফেসবুক পেজে এমন ঘোষনা দেন। বর্তমানে করোনা উপসর্গের রোগী বা মৃত ব্যক্তিকে কোন যানবাহনের বা এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার নিতে রাজি হচ্ছে না। সংকটময় এসন মুহুর্তে সবাই যখন কোয়ারেন্টাইনে, তখন সাংসদ আনার গ্রামের পর গ্রাম সকাল সন্ধ্যা মোটরসাইকেলে চড়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন। এমন সংকটেও তিনি তার নির্বাচনী এলাকার যেখানের মৃত্যুর সংবাদ শুনছেন ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। নিহতের পারিবারকে শান্তনা দিয়ে জানাযায় অংশ নিচ্ছেন। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার এ পর্যন্ত ১৫ হাজার মৃত মানুষের দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী আব্দুর রউফ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন