থামছেই না ঘোরাঘুরি আড্ডা জটলা। হাঁটতে গেলেই গায়ে গা-টোকাটুকি। চট্টগ্রামের গোটা প্রশাসন ত্যক্ত-বিরক্ত। পুলিশ আড্ডাখোরদের ধরতে ড্রোন পর্যন্ত নামিয়ে প্রায় বিফল। গতকাল সোমবারও নগরীর বিভিন্ন স্থানে চোর-পুলিশ খেলা চোখে পড়ে।
আড্ডাখোরদের ধাওয়া করে ঘরে ঢোকানোর চেষ্টাকালে। প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনীকে দেখা গেছে তৎপর। জটলাবাজরা মূল সড়ক এড়িয়ে জটলা পাকিয়ে ঘুরছেই। হন্যে হয়ে ছুটছে পুলিশ।
হোম কোয়ারেন্টাইন ফাঁকিদাতা বিদেশফেরত প্রচুর প্রবাসী সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া, বিদেশি নাগরিক, প্রধান সমুদ্র বন্দরসহ বিভিন্ন কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম। স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন আগেই সতর্ক করে আসছে।
অথচ তা কানে নিচ্ছেনা না অনেকেই। যথেচ্ছ ঘোরাঘুরি, আড্ডা, জটলা বন্ধ না হওয়ার কারণে করোনার সামাজিক সংক্রমণের ঝুঁকির পর্যায়ে এখন চট্টগ্রামবাসী শঙ্কায়।
গতকাল বন্দরনগরীর চকবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, অলংকারসহ অধিকাংশ কাঁচাবাজারে কেনাকাটায় প্রায় গমগম অবস্থা দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে। তাছাড়া অলিগলি, ফুটপাথ, ঝুপড়ি-বস্তি এলাকা, পাহাড়-টিলার পাদদেশে জটলা, জমিয়ে আড্ডা-গালগল্প চলছে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কোনো তোয়াক্কা নেই। পুলিশ দেখলে গলিপথে সটকে পড়ছে। ওরা আসছে আবারও। চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
গতকাল মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা একটি কার্গো জাহাজ থেকে নৌকায় নেমে নগরীর পতেঙ্গা সৈকতের বাজারে ঘোরাঘুরির দায়ে ৩ জন জাহাজী কর্মচারীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ। তিনি জানান, আর কেউ জাহাজ থেকে নেমে লোকালয়ে ঢুকলেই কঠোর ব্যবস্থা। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন