কুষ্টিয়ার খোকসার স্কুলছাত্রী পূজা রাণীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার প্রদীপ দাসের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে খোকসা থানা পুলিশ। আর ময়নাতদন্ত শেষে পূজার মরদেহ বুধবার (১৫ এপ্রিল) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) আদালতে এ রিমান্ড আবেদন করেন বলে নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা কাদিরপুর গ্রাম থেকে পূজার রক্তাত্ব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ওই স্কুলছাত্রীকে হাতুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
তবে স্থানীয় ও পূজার বাবার দাবি, স্কুলছাত্রী পূজাকে হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ওই স্কুলছাত্রীর সৎ মামা প্রদীপ দাস।
পরে হত্যাকাণ্ডের সাত ঘণ্টার মধ্যে খোকসা থানার ওসির ঐকান্তিক চেষ্টায় অভিযুক্ত সৎ মামা প্রদীপ দাসকে কুমারখালী থানার সহায়তায় আটক করে পুলিশ।
নিহত স্কুল ছাত্রী পূজা উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের মুদিদোকানী গৌতম কুমার দেব ওরফে হারু একমাত্র মেয়ে।
নিহত ছাত্রীর বাবা গৌতম কুমার দেব ওরফে হারু দাবি করেন, পরিকল্পিত ভাবে সৎ মা তার ভাইকে দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন।
খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীর রক্তাত্ব লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে পেছন থেকে ধাতব কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
মজিবুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে জোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা সাত ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করতে সম্ভব হয়েছি। আমরা আটক প্রদীপের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি।
ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পূজার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছে কী না তা জানা যাবে মেডিকেল রিপোর্টের পর।
উল্লেখ্য, স্কুল ছাত্রী পূজার জন্মের কয়েক বছর পর তার মা মারা গেলে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শুরু থেকে মায়ের বিষ নজরে পরে এই ছাত্রী। এ নিয়ে মা মেয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। এসবের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন