শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি যুবলীগ নেতার নাজিরপুরে যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষকের অপসারণ দাবি

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাজিরপুর উপজেলা সংবাদদাতা : পিরোজপুরের নাজিরপুরে গাওখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষক শংকর কুমার গোলদারের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে গতকাল রোববার সকালে বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। এ মানববন্ধনের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস তার লোকজন দিয়ে সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা সৃষ্টি করে। সাংবাদিকরা এ বাধা উপেক্ষা করে মানববন্ধনের ছবি তুলে বের হবার পর ওই যুবলীগ নেতা তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি ফিরোজ মাহমুদের মুঠোফোনে ফোন করে সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। সাংবাদিকদেরকে হুমকির ঘটনায় নাজিরপুর প্রেসক্লাবে জরুরী সভায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জানা গেছে, উপজেলার গাওখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিগত ৫ মাস পূর্বে তার বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক শংকর কুমার গোলদারের কাছে প্রাইভেট পড়তে শুরু করে। ৩ মাস প্রাইভেট পড়ার পর ওই শিক্ষকের আচরণে ছাত্রীসহ তার মা বুঝতে পারেন শিক্ষক একজন মাদকাসক্ত ও দুশ্চরিত্রের লোক। তাছাড়া তিনি স্কুলে বসে প্রাইভেট না পড়িয়ে নিজ বাসায় প্রাইভেট পড়ান, যে বাসায় তার স্ত্রী থাকেন না। গত ১১ জুলাই সকালে শিক্ষক শংকর কুমার গোলদার লোক পাঠিয়ে ওই ছাত্রীকে তার বাড়ী থেকে তার বাসায় ডেকে নেন। ওই ছাত্রী শিক্ষকের বাসায় যাওয়ার পর ওই বাসায় থাকা অন্য দু’জন ছাত্রীকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে শিক্ষক ওই ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর আচরণ শুরু করে। ওই ছাত্রীর মা মেয়েকে বাসায় না পেয়ে এবং শিক্ষক শংকর তাকে ডেকে নিয়েছেন জানতে পেরে শিক্ষকের বাসায় ওই ছাত্রীকে আনতে গেলে শিক্ষক শংকর ওই ছাত্রীর মায়ের সাথে তাকে বাড়ি যেতে বাধা প্রদান করে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে স্বামীহারা ওই ছাত্রীর মাকে ভয়ভীতি দেখালে তিনি তার মেয়েকে নিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।
ইতোপূর্বেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজ ছাত্রীকে বিয়ে করা, মাদক গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি অনৈতিক কর্মকাÐের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তার ছোট ভাই দিপংকর গোলদার দিপু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি এবং কর্তৃপক্ষও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ঘটনাটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন