বরিশাল বিভাগে শুধুমাত্র শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে সপ্তাহখানেক আগে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ পরীক্ষা চালু হয়েছে। পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ। যদিও মেডিক্যাল কলেজটি এখনও পরিপূর্ণভাবে কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
দেশে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের সঙ্কট। এক্ষেত্রে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলোজি ল্যাবটিতে কিছু সরঞ্জামাদি সংযুক্ত করণের মাধ্যমে করোনা শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের অভিমত।
পবিপ্রবিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি উন্নতমানের ল্যাবরেটরি। এর মধ্যে প্লান্ট বায়োটেকনোলজি ল্যাবটিতে রয়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কাজে ব্যবহৃত হয় এমন বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ও ক্যামিকেল। ভাইরাসটি শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর মধ্যে এ বায়োটেকনোলজি ল্যাবরেটরিটিতে রয়েছে স্ট্রেরাইল টিউব, অটোক্লেভ মেশিন, ডিস্টিলাইজেশন ফ্যাসেলিটি (সুবিধা), ডি-আয়োনাইজেশন ফ্যাসেলিটি, ক্লিনভেঞ্জ, স্পেকট্রোফটোমিটার, স্পেকট্রোক্লোরোমেট্রিক ফ্যাসেলিটি, সেন্ট্রিফিউজ মেশিন, ইলেকট্রোপোরোসিসের সুবিধা, ট্রান্স-ইলোমিনেশন সুবিধা, মাইনাস ২০ ডিগ্রি ও মাইনাস ৮০ ডিগ্রির ফ্রিজার। এ ল্যাবে কাজ করা হয় পিসিআর মেশিন দিয়ে। তবে করোনা শনাক্তে দরকার এর থেকে উন্নত ভার্সনের রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্ট পিসিআর বা আরটি-পিসিআর।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে বায়োসেফটি-১ ব্যবহৃত হচ্ছে। করোনা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজন বায়োসেফটি-৩। এছাড়াও অবকাঠামোগত সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ক্যামিকেলস রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কৃষি গবেষক ড. মাহবুব রব্বানী। বায়োসেফটি লেভেল বাড়িয়ে কয়েকটি যন্ত্র ও রি-এজেন্ট সংযোজিত করে এ ল্যাবটিকে করোনা শনাক্তের পরীক্ষাগার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর মেশিনসহ আনুষঙ্গিক কিছু সুবিধাদি রয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা ভাল বলতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন