লকডাউনের মধ্যেও ঢাকা থেকে ট্রেন গেছে সিলেটে। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। শনিবার বিকেলে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওই ট্রেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে দ্রুত স্টেশন ত্যাগ করে চলে যান। বিষয়টি নজরে আসার পর সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজারকে তলব করেছেন সেখানকার জেলা প্রশাসক। জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টা আমার জানা নেই। এরকম তো হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, পেনশনের টাকা ও জরুরী কাগজপত্র নিয়ে ট্রেন যাওয়া আসা করে। সেরকম কিছু হলে তো সেখানে যাত্রী থাকার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিবেন বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যার একটু আগে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে দুটি বগি ও একটি ইঞ্জিন সংযোজিত একটি ট্রেন। ট্রেনটি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগে রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারি স্টেশনে ঢুকেন। তারা স্টেশনের প্রধান ফটক খুলেও দেন। ট্রেন স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গে দুটি বগি থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী দ্রুত নেমে স্টেশন ত্যাগ করে। এ সময় দু’জন যাত্রী জানিয়েছেন-তারা ঢাকা থেকে সিলেটে এসেছেন। জরুরী কাজ থাকায় তাদের সিলেট আসতে হয়েছে বলে জানান।
ট্রেনটি স্টেশনে থামার কিছু সময় পর স্টেশনের নিজের কক্ষের দরোজা বন্ধ করে চলে যান ম্যানেজার খলিলুর রহমান। পরে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যে ট্রেনটি এসেছে সেটি তাদের নিজস্ব। মাত্র ৫ জন ব্যক্তি তাদের বেতন ও আনুসাঙ্গিক সরঞ্জাম নিয়ে সিলেটে এসেছেন। ট্রেনে যে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলো সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে- ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একজন ফটো সাংবাদিক ট্রেন আসার দৃশ্যটি সরাসরি তার ফেসবুকে লাইভ করেন। ফলে দর্শকরা তার লাইভের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। ঘটনাটি চোখে পড়ে সিলেটের প্রশাসনের। এ কারনে সন্ধ্যার পর স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমানকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তলব করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন