চট্টগ্রামেও করোনা দুর্যোগে মানুষের পাশে সম্মুখ সারিতে পুলিশ। দরিদ্রদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া, মধ্যরাতে প্রসববেদনায় ছটফট করা রোগী নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়া, লকডাউন-শাটডাউন নিশ্চিত করা, ফোন পেয়ে ওষুধ, খাবার বাসায় দিয়ে আসা-এমন সব মানবিক কাজে এগিয়ে আসছেন এ বাহিনীর সদস্যরা।
মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে সামনের কাতারে থাকা পুলিশের তিন সদস্য করোনায় আক্রান্ত। তাদের সংস্পর্শে আসা আরো আড়াই শতাধিক সদস্য কোয়ারেন্টাইনে। তবু মনোবল অটুট। সাহসিকতার সঙ্গে প্রাণঘাতী এ করোনা থেকে মানুষের জীবন রক্ষায় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা পুলিশ সদস্যরা। দুর্যোগের এমন কঠিন সময়ে মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেই মাঠে নেই। আছেন পুলিশের সদস্যরা। শুরু থেকেই সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিত করতে মাঠে তারা।
টানা ছুটিতে মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিতে নানা কৌশলে কাজ করছে পুলিশ। সড়কে অকারণ ভিড় ঘোরাঘুরি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়া কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামেই প্রথম ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি করা হয়। হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকাদের নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। অনেকের বাসায় বাজার এবং জরুরি ওষুধ ও খাবার পৌঁছাতেও কাজ করছেন এ বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় সংক্রমণের তথ্য আসছে। এসব তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সেই সাথে পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশন ও এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে। খুব কম সময়ে পুলিশ এটা নিশ্চিত করছে। তাতে আক্রান্ত এলাকায় লোকজন সতর্ক হচ্ছে।
করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিতদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরিদ্রদের পাশাপাশি পরিস্থিতির কারণে সঙ্কট পড়া নানা শ্রেণি পেশার মানুষের পাশে আছে পুলিশ। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ করছে পুলিশ। চাঁদাবাজির অভিযোগ এক সার্জেন্টকে ক্লোজড করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মানুষকে ঘরে ঠেলে পাঠানো এবং রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া মতো কাজে সংক্রমণের ঝুকি রয়েছে। এ ঝুঁকি নিয়ে মাঠে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবর রহমান প্রতিদিনই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। তিনি বলেন, দুর্যোগের সময় পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে আছে, থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন