রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পাটকল শ্রমিকদের

আবু হেনা মুক্তি : | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

বিপদে পড়েছেন পাটকল শ্রমিক পরিবারগুলো। করোনার এই সঙ্কটকালীন সময়ে খুলনাঞ্চলে হতদরিদ্র নিম্নবিত্ত মানুষরা সরকারি-বেসরকারি নানা রকম সহায়তা পাচ্ছেন। কিন্তু পাটকল শ্রমিকরা পাচ্ছে না। তারা না পারছেন কারো কাছে সহায়তা চাইতে, না পারছেন ঘরে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে দিনযাপন করতে। কারণ তাদের বেশির ভাগেরই হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই।
মিল শ্রমিক তোফাজ্জেল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার পাটকলে ছুটি ঘোষণা করে। ছুটির আগে বকেয়া এক সপ্তাহের মজুরি দেয়া হয়। এখনো ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। এ অবস্থায় হাতে কোনো টাকা নেই। মুদি দোকানে ১৩ হাজার টাকা বাকি রয়েছে। এখন আর দোকানি বাকিতে চাল-ডাল দিচ্ছে না। ৩ ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে অভুক্ত থাকার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এদিকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় আগামী শনিবার থেকে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। প্লাটিনাম জুট মিল সিবিএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
প্লাটিনাম জুট মিল সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন জানান, তারা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য বিজেএমসিকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। মজুরি পরিশোধ করা না হলে তারা আগামী শনিবার থেকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আবারও সভা করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি পাটকলে ১০-১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিকই কোনো খাদ্য সহায়তা পায়নি। এর ফলে শ্রমিকদের অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে। তারা একাধিকবার বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কবে মজুরি দিতে পারবে সে বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলতে পারছে না।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক মো. খলিলুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের চেয়ে এখন শ্রমিকদের মধ্যে না খেয়ে মারা যাওয়ার ভয়ই বেশি। কিছু কিছু মুদি দোকান খোলা থাকলেও তারা পাটকল শ্রমিকদের আর বাকিতে মাল জিনিস দিচ্ছে না। সাধারণ শ্রমিকরা আন্দোলনে নামতে চাইছে। তাদেরকে কোনোমতে বুঝিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কতদিন তারা চুপচাপ থাকবে?
এ ব্যাপারে ক্রিসেন্ট জুট মিলের প্রকল্প প্রধান খান কামরুল ইসলাম বলেন, তারা বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য চেষ্টা করছেন। বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা মো. বনিজ উদ্দিন মিঞা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন