মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে সৌদি প্রবাসির স্ত্রীর বিরুদ্ধে উপার্জনের সমস্ত অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকা বাসির সূত্রে যানা যায়, বাঘড়া উইনিয়ন বৈচার পাড়া গ্রাম মৃত ইসহাক মোল্লার ছেলে খোরশেদ আলম(৪৫)। ভাগ্যকুল উইনিয়ন উত্তর কামার গ্রামের চুন্নু শেখের মেয়ে রোকসানা(রোক্সি) (৩৫) সাথে ১৭ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ হয় । তাদের দাম্পত্য জিবনে সামির নামে ১৪ বছর বয়েসি একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।খোরশেদ আলম জানান আমার স্ত্রী কখনোই আমার বাড়ি আসতো না। তার বাবার বাড়িই থাকতো। আমি এবার দেশে ফিরে তাকে আনতে গেলে সে আসতে অস্বীকার করে এবং আমাকে গালাগালি করে তার বাবার বাড়ি থেকে আমাকে বের করে দেয়। তখন আমি আমার দেয়া অর্থ সম্পদ ফিরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করে। কী অর্থ সম্পদ দিয়েছেন জানতে চাইলে খোরশেদ আলম জানান, ১৩ বছর ধরে আমি সৌদি আরবের থাকি। মাঝে মাঝে দেশে আসি। সব সময় আমার স্ত্রীর সব চাহিদা পুরন করেছি। আমার স্ত্রীকে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও বিভিন্ন সময় দামি মোবাইল ফোন আমার থেকে নিয়েছে। শশুর বাড়ির পাশে স্ত্রীর নামে সাড়ে ৬ শতাংশ একটি জমি ক্রয় করে দিয়েছি। তার নামে ৩ লাক্ষ টাকার একটা ডিপোজিট করা হয়। তার ভাতিজার কাছ থেকে ঢাকার একটি জমি ক্রয় করার কথা বলে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে আমাকে এখনো যায়গাটি দলিল করে দেয়নি । যখন যত টাকা চেয়েছে দিয়েছি কিন্তু পরবর্তিতে জানতে পারি আমার স্ত্রী পরকীয়াশক্ত।
এ ব্যাপারে তার কাছে যানতে চাইলে সে প্রথমে অস্বিকার করে। আমি প্রমান উপস্থাপন করলে সে রেগে গিয়ে আমার কাছে ডিভোর্স চায়।
স্ত্রীর এমন আচরনে আমি গ্রামের শালিসি ডাকলে সে আমাকে নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখায় এবং আত্মহত্যা করে আমাকে ফাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
এখন আমি পুরো পুরি ভাবে নিস্য হয়ে গেছি।
সন্তান সামির জানায়, আমার মায়ের মোবাইলে আমি আপত্তিকর ম্যাসেজ দেখতাম। আমি তখন না বুঝে ডিলেট করে দিতাম। এব্যাপারে স্থানিয় ইউপি সদস্য সামাদ মেম্বারের কাছে জানতে চায়লে তিনি ঘটনাটি সত্যবলে স্বীকার করেন।
রোকসানা(রোক্সি) কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন খোরসেদ আলমের কোনো অর্থ সম্পদ আমার কাছে নেই। সে আমাকে ঠিক মত ভরণ পুষন দিতোনা তাই আমি ডিভোর্স চাই। তার সন্তানের বক্তব্যের কথা জানালে তিনি বলেন সামির আমার গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।খোরশেদ আলম এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানায় একটি সাধারন ডাইরি(জিডি)করেছেন যার নং-৫২।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন