করোনার থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধুপুর মনিপাড়ার বাঁশ ও বেত শিল্প। এ বছর বৈশাখী মেলা বন্ধ থাকার পাশাপাশি রাজধানীর বাঁশ ও বেতের সামগ্রী বিক্রির দোকানপাট বন্ধ রয়েছে-এ দুই কারনে উপজেলার বাঁশ ও বেতের সামগ্রী অবিক্রিত থেকে গেছে। এতে করে সারা বছরের আয়-রোজগার না হওয়ায় স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে মধুপুর মনিপাড়ার বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবার গুলোর। একই সঙ্গে লাখ লাখ টাকা লোকসানের আশংকায় রয়েছেন তারা।
মনিপাড়ার যতীন্দ্র দাস জানান, ঋষি সম্প্রদায়ের ৮০ টি পরিবার ১০০ বছর ধরে বাঁশ ও বেতের তৈরী সামগ্রী তৈরী করার পেশায় জড়িত রয়েছে। তারা বাঁশ ও বেতের দোলনা, ব্যাগ, পাখা, ঝাড়–, টোপা, ডালি. মাছ শিকারের পলি, খলিশান-প্রভৃতি সামগ্রী তৈরী করে থাকে। এ বছর দেশের কোথাও বৈশাখী মেলা না জমায় তাদের বেত-বাঁশের তৈরী সামগ্রী ঘরের মধ্যেই পড়ে আছে।
মনিপাড়ার বাঁশ-বেত শিল্পী নিরঞ্জন দাস জানান, মনিপাড়ার পরিবার গুলো রাজধানীর শো-রুম গুলো ছাড়াও বৈশালী মেলা ঘিরে বাঁশ ও বেতের সামগ্রী অগ্রিম তৈরী করে থাকে। এ বছর করোনার কারনে দেশের কোথাও বৈশাখী মেলা হয়নি। এতে বাঁশ-বেতের সামগ্রী অবিক্রিত থেকে গেছে। এখন তারা লাখ লাখ টাকা লোকসানের কবলে পড়েছেন।
রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন হাদি জানান, 'এ ইউনিয়নে মধুপুর প্রামের মনিপাড়ায় ১০০ বছরের বেশি হবে প্রায় ৮০টি পরিবার বাঁশ ও বেতশিল্পের সঙ্গে জড়িত। করোনাভাইরাসের কারনে তাদের অবস্থা খুবই করুন তবে তাদের প্রতি আমার স্পেশাল প্লান আছে সরকারী সহযোগীতা ছাড়াও আমি ব্যক্তিগত ভাবে ২/১ দিনের মধ্যে ওদের সহযোগীতা করব ।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসরা আশফিকুন নাহার জানান,ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে এবং ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা হয়েছে ,ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী হচ্ছে। আমরা সরকারী ভাবে সহযোগীতার চেষ্টা করতেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন