শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ত্যাগের মহিমায় নিজের খাবার অসহায়, অভুক্তদের সাথে ভাগাভাগি করে নিই- ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ৩:৫১ পিএম

আমি বিশ্বাস করতে চাই না, তারপরেও কোভিড-১৯ ( করোনা ভাইরাস) - এর ভয়ংকর প্রভাব বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিস্তৃত হয়ে পড়ার আশংকা এড়িয়ে যেতে পারছি বলে মনে হয় না। তবে আশার কথা হচ্ছে , মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছে, , নিজে বা সমষ্টিগতভাবে সংকট মোকাবিলায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি আরো বেশি ঘরে থাকি , আরো বেশি পরস্পরের স্পর্শ থেকে দুরে থাকি , আরো বেশি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, স্বাস্থ্য সচেতন হই, অন্তর দিয়ে ইবাদত বন্দেগী ও প্রার্থনার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি হয়তো প্রকৃতি আমাদের সহায় হবে, আল্লাহ আমাদেরকে এই মহাবিপদ থেকে মুক্তি দিবেন, সুরক্ষিত করবেন - ইনশাআল্লাহ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকণ্যা শেখ হাসিনার সময় উপযোগী সকল সিদ্ধান্ত বা দিক নির্দেশনায় করোনা সংকট মোকাবিলায় আমরা গোদাগাড়ী ও তানোরের প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চলে, গ্রামে গ্রামে, মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেবা দিয়ে আসছি। গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার আমার স্নেহাস্পদ দুই চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল তর্ক, বির্তক, বিরোধিতা, অসংলগ্ন সমালোচনা উপেক্ষা করে প্রতিটি অসহায় অভুক্ত মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে - আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। এছাড়াও প্রশাসন, মহৎ উদ্যোমী ব্যক্তি, অনেক সংস্থা মানবতার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, আমি তাদের সকলকেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।


আমি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি ( গোদাগাড়ী - তানোর ) আজ গর্বিত এই কারণে যে, আমার এলাকার অসংখ্য মানুষ হট লাইনে খাদ্য সহায়তার জন্য তাদের অসুবিধার কথা জানিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। আমরা ইতিমধ্যে হাজার হাজার নিরুপায় মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়ে অসহায় পরিবার গুলোকে এই সংকটে টিকে থাকার সাহস দিতে পেরেছি বলে মনে করি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি খুব বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি যেমন, কেউ কেউ বার বার ফোন করছেন, কেউ কেউ এসএমএস করেও ফোন করছেন, কেউ কেউ একবার সাহায্য পেয়ে পরক্ষণেই আবার এসএমএস করছেন, কেউ কেউ বিশাল তালিকা দিয়ে এসএমএস করছেন, কেউ কেউ শুধুমাত্র তামাশা করে বিরক্ত করার জন্য ভুল ঠিকানা দিয়ে এসএমএস করছেন। এতে আমি খুব ঝামেলার মধ্যে পড়ছি এবং আমার নেতা কর্মীরা অনেক সময় অহেতুক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সহায়হীন খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বৃহত্তর স্বার্থে আপনার বিবেকের তাড়না থেকে আমাকে আরও একটু সহযোগিতা করুন যেন আমার কাজের গতি বাধাগ্রস্ত না হয়।আসন্ন মাহে রমজানের রহমতময় মাসে শুধু নিজের কথা না ভেবে আসুন আমরা সকলের কথা ভাবি, ত্যাগের মহিমায় নিজের ভাগের খাবার অসহায়-অভুক্তদের সাথে ভাগাভাগি করে নিই।
ধন্যবাদ, রমজানুল মুবারক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন