শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লকডাউনের সুযোগ নিয়ে কলাপাড়ায় বনের শতশত গাছ কেটে সরকারী সম্পত্তি দখল

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ৫:২৩ পিএম

অদৃশ্য করোনাভাইরাসের কবল থেকে নিজেকে রক্ষায় ঘর বন্দী থেকে দিন পাড় করছে মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি।একান্ত প্রয়োজনীয় না হলে ঘর থেকে বের হন না অনেকেই। মরনঘাতি এ ছোয়াচের বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা মানবজাতি। আর মানুষের ঘরে থাকার এ সুজোগ কাজে লাগিয়ে কলাপাড়ায় সরকারী সম্পত্তি দখল করে মাছের ঘের নির্মান করছেন প্রভাবশালীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু জমি দখলই নয়, উপজেলার চাকামইয়া ইউপির আনিপাড়া গ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রকৃতির বিরুদ্ধেও ধ্বংস লিলায় মেতে উঠেছেন এ প্রভাবশালীরা। ভেকু দিয়ে মাটি খননকালে কয়েক একর জমির গোলপাতার বন উজাড় করাসহ কেটে ফেলা হয়েছে একের পর এক ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বাইন,কেওড়াসহ অসংখ্য প্রজাতির গাছ। অনেকেই আবার ভেকু মালিক পক্ষের সাথে চুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় ওই কচুপাতরা নদীতীর থেকে মাটি কেটে নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় স্তুপ করে রেখেছেন নতুন বাড়ি নির্মান কাজে ব্যবহার করবেন বলে। দখলদার আবদুর রহমান মুন্সির সাথে কথা হলে তিনি প্রথমে তার রেকর্ডীয় সম্পত্তি দাবী করলেও পরে ভুল হয়েছে বলে জানান সবাই দখল করে ঘের নির্মান করছেন তিনি করলে দোষ কি। এছাড়া তিনি বলেন, ফরেস্টের স্যারেরা আর সাংবাদিক ভাইরা আইছেলে হ্যারা তো কিছু কয়নায়। আপনারা বসেন,বইসা কথা বলমু আনে। তবে তিনি গাছ কেটে কোথায় রেখেছেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি। এদিকে প্রভাবশালী আবদুল মান্নান হাওরাদারের দখলের দৃশ্য ফ্রি স্টাইলে। অনেকটা সিনেমার দৃশ্যের মত। তার ভাষ্যমতে মিয়া আমার দাগের মাতার (সীমানার সামনে) জমি। ঘের বানাইতাছি তাতে কি হইছে। আর এসব গোল গাছ আমি লাগাইছি। তিনি আরো জানান, স্থানীয় মামুন মেম্বর (সাবেক) তাকে ঘের নির্মানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে স্থানীয়দের দাবী, বনকর্তাদের ম্যানেজের মাধ্যমে’ই চলছে এমন দখল কার্যক্রম। বেশ কয়েকবার ঘুরে এলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেইনি তারা।

উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুস সালামের কথায়ও উদাসীনতার সত্যতা মেলে। প্রথমে তিনি জানান, ওইগুলো তাদের রেকর্ডী সম্পত্তি। গাছ তাদের রেকর্ডী এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠিক তা নয় পাচ পিচ গাছ জব্দ করা হয়েছে । পটুয়াখালী অফিসে যোগাযোগ করে মামলা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মো.শহীদুল হক জানান, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানার পর বেশ কয়েকবার রেঞ্জ কর্মকর্তাকে দেখতে বলেছি। তিনি এখনও মামলা দেয়নি। আমি বিষয়টি দেখছি, আপনারা আমাকে তথ্য দিয়ে হেল্প করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন