উৎপাদিত কিট পরীক্ষার জন্যে করোনা রোগীর রক্ত পেতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গতকাল বুধবার চিঠি দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তা জানানো হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল তারা সরকারকে কিট সরবরাহ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি জানান, এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পাঁচজন করোনা রোগীর রক্ত পেয়েছিল। সে সময় ল্যবরেটরিতে গোলযোগ তৈরি হয়েছিল। এখন তারা আবার কিট উৎপাদন শুরু করছেন। তাই গবেষণার জন্য আবারও করোনা রোগীর রক্তের প্রয়োজন হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লেখা চিঠিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১০ জন করোনা রোগীর প্রতিজনের তিন সিসি করে রক্তের প্রয়োজনের কথা জানায়। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক কর্মীকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। মহাপরিচালক অনেকক্ষণ পরে বলেছেন ফাইল নাই, ফাইল পাই না। এরপর ৪টার দিকে তাকে বলা হয়েছে, আজকে চলে যান।’
তখন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহযোগিতায় গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে সেই চিঠির উত্তর পেয়েছেন। এদিনই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা রোগীর রক্ত হাতে পেয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবে কিট উৎপাদন চলছে। আমাদের কিটের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত। অধিকতর পরীক্ষা করে আমরা আরও নিশ্চিত হব। বাংলাদেশের প্রয়োজন তো মিটবেই, আরও পাঁচ-ছয়টি দেশে আমরা কিট রপ্তানি করতে পারব। সরকারের কাছে প্রত্যাশা যত দ্রুত সম্ভব গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার ব্যবস্থা যেন করা হয়। রক্তের নমুনা দেওয়ার মত আটকে যেন না থাকে। এই রক্ত দিয়ে গবেষণার কাজ চলবে। কিট উৎপাদনের কাজ চলছে। আগামী ২৫ এপ্রিল তারা সরকারকে কিট সরবরাহ করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন