করোনা এখন বিশ্বের আতংকের নাম। দিন দিন বেড়েই চলেছে এর বিস্তার। ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন পেশার মানুষ ঘর বন্দি হলেও, ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের। এর ব্যতিক্রম হয়নি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতেও।
প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই থাকলেও এন-৯৫ মার্কস ছাড়াই ফুলবাড়ীসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা রোগীদের নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ডেন্টাল সার্জনসহ ১০ জন ডাক্তার রয়েছে। এর মধ্যে ৮জন ডাক্তার জরুরি সেবায় দায়িত্ব পালন করছেন বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়। এদিকে স্বাস্থকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন)-এর ব্যবস্থা কোনভাবে করতে পারলেও এখনো হয়নি এন-৯৫ মার্কসের ব্যবস্থা। এরপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে রোগীদের। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে বর্তমানে করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৫ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড। এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগটি সার্বক্ষণিক সাধারণ রোগীদের সেবা অব্যাহত রেখেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তুলনামুলকভাবে কিছুটা রোগী কম থাকলেও নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন এখানকার স্বাস্থ্য কর্মীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতেও আমরা যথাযথভাবে রোগিদের সেবা অব্যাহত রেখেছি। যদিওবা করোনা আতংকে বর্তমানে রোগীর উপস্থিতি তুলনামুলক কম। কিন্তু যারা সেবা নিতে আসছে তাদের আমরা আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করছি। তিনি আরো জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় এই পর্যন্ত ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১৬ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন হলে একজনের কোভিট-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ১৫ জনের নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে। উপজেলায় একমাত্র কোভিট-১৯ পজিটিভ রোগীর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আশাকরি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য এই পর্যন্ত ফুলবাড়ীতে মোট ৮১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৯ জন হোম কোয়ারেইন্টান থেকে অব্যাহতি পেয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪৯ জন এবং একজন আইসোলেশনে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন