করোনার বিধি নিষেধ না মেনে সুন্দরবন উপক‚লে কয়েক’শ নারী-পুরুষ নদ-নদীতে চিংড়ি পোনা আহরণ করছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে কাঠ পাচার আর পোনা আহরণের এই যত্রতত্র কার্যক্রম। মংলার জয়মনি, দাকোপের কালাবগী নলিয়ান সুতারখালী, পাইকগাছার হড্ডা কয়রার বিভিন্ন নদ নদীতে এমন চিত্র দেখা গেছে। চিংড়ি পোনা আহরণকারী প্রান্তিক জেলেরা বলছেন, পেটের দায়ে তারা তারা মাছ ধরছেন।
তবে স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, আইন অমান্য করে পোনা আহরণ করতে গিয়ে তাদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ বাড়াতে পারে। করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সরকারি নির্দেশনা মেনে মানুষ যখন নিজ গৃহে অবস্থান করছে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছে, তখন একেবারে ভিন্ন চিত্র উপক‚লীয় অঞ্চলের নদ নদীতে।
কয়েক’শ নারী-পুরুষ দল বেধে নদীতে নিষিদ্ধ নেট জাল দিয়ে চিংড়ির পোনা আহরণ করছেন। এসময় কথা হয়-জেলে আব্দুল মালেক, রহিমন বেগম, আমির হোসেন ও জাহানারা বেগমের সাথে কথা বলে জানা গেল, ‘করোনা নিয়ে নয়, তাদের চিন্তা শুধুমাত্র খাদ্যের জোগান নিয়ে।’ জেলেরা বলেন, ‘পেটে যদি না মানে মৃত্যুর ভয় করে লাভ আছে? মৃত্যুতো একদিন হবে। ঘরে চাল নাই, ছেলে-মেয়েদের খাবার কে দিবে? তাই নদীতে নেমে পড়েছি।’
এদিকে নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে স¤প্রতি শেষ হয়েছে সুন্দরবনের গোলপাতা আহরণ মৌসুম। শ্রমিকরা তাদের মহাজনদের নিজ নিজ এলাকায় নৌকা নোঙ্গর করে বর্তমানে পাতা খালাসে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গোলপাতা ব্যতীত অন্য কোনো বনজ সম্পদ আহরণ সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও এবারো পাতা আহরণের অন্তরালে বনের সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, আমুড়, বাইন ও ধুন্দলসহ নানা প্রজাতির কাঠ পাচার করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী।
এছাড়া ভারসাম্য রক্ষার নামে ঝুলবাঁধার জন্য নৌকার উভয় পাশে শত শত মণ গেওয়া গাছসহ অতিরিক্ত মাত্রায় গোলপাতা বোঝাই করে আনতে দেখা গেছে। তবে, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের অধিকাংশ এলাকা অভয়ারণ্য থাকায় চলতি বছরে এ রেঞ্জ থেকে গোলপাতা আহরণের জন্য বাওয়ালীদের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে স¤প্রতি শেষ হয়েছে সুন্দরবনের গোলপাতা আহরণ মৌসুম। শ্রমিকরা তাদের মহাজনদের নিজ নিজ এলাকায় নৌকা নোঙ্গর করে বর্তমানে পাতা খালাসে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গোলপাতা ব্যতীত অন্য কোনো বনজ সম্পদ আহরণ সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও এবারো পাতা আহরণের অন্তরালে বনের সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, আমুড়, বাইন ও ধুন্দলসহ নানা প্রজাতির কাঠ পাচার করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী।
চিলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘জেলেদের কোনভাবেই বুঝানো যাচ্ছে না। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যত্রতত্র পোনা আহরণের কারণে সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, জেলেরা তা বুঝতেই চাচ্ছেন না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন