হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ঔষধি গুণ। বড়-ছেট প্রতিটি সংসারের মধ্যে রান্না ঘরের গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে হলুদ। তবে এটি হচ্ছে শুকনো হলুদের গুঁড়া। সব ঘরে হলুদের গুঁড়া পেলেও কাঁচা হলুদ কিন্তু সবখানে পাওয়া যায় না। তবে নিত্য ফসারির দোকানে এটি খুব সহজে পাওয়া যায়। রান্নাবান্না ছাড়াও হলুদ বিভিন্ন রোগব্যাধীসহ বহু কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। আর যখনই নারী-পুরুষ নিজের ত্বক নিয়ে বিভিন্ন চিন্তাভাবনার মধ্যে নিমজ্জিত হয় তখনই মনে পড়ে কাঁচা হুলুদের গুণের কথা।
নিয়মিত কাঁচা হলুদ ব্যবহারে ত্বকের ব্রণ ও ক্ষতের দাগ দূর হয়। এ ছাড়া উজ্জ্বলতা ফিরে আসে ত্বকের। ত্বকের জন্য কাঁচা হলুদের কিছু ব্যবহার বিধি রয়েছে। ঠিকমতো এর ব্যবহার হলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। সপ্তাহে ২ দিন ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে ১ চা চামচ ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) রস মিশিয়ে ত্বকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ধীরে ধীরে ত্বকে ক্ষতের দাগ সেড়ে যাবে। ত্বকের পোড়া পোড়া ভাব কমে আসবে। এতে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে জানান ভেষজবিদরা।
১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ বেশন ও পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করলে ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা ও সামান্য পানি মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হবে। ধীরে ধীরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে বাড়বে সৌন্দর্য ও আত্মপ্রত্যয়। আর তখন রোদের আদ্রতা ত্বকের উপর আঘাত করতে পারবে না। সকলেই লাইফস্টাইলের এ উন্নত ও সহজ রেসিপি গ্রহণ করে নিজের ত্বকের হেফাজত করতে পারেন।
ষ কাজী এম এস এমরান কাদেরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
ধসৎধহশধফবৎর@মসধরষ.পড়স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন