শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাপাসিয়ায় যত্রতত্র নিন্মমানের পিপিই বিক্রি

কাপাসিয়া (গাজীপুর) জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ৬:১২ পিএম

কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের সড়কের মোড়ে মোড়ে পাসরা সাজিয়ে যত্রতত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে অতি নিন্মমানের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সকল হাট-বাজার ও দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সুযোগে একশ্রেণির লোক যেখানে সেখানে নিন্মমানের পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুয়িপমেন্ট (পিপিই) বিক্রি করছে । এক জায়গায়ই পাওয়া যায় স্যুট, গ্লাবস, মাস্ক, গুজ কভার, গগলস। ব্যাগ তৈরির কাপড় দিয়ে তৈরি করা এসব সুরক্ষা সামগ্রীতে সয়লাব বাজার। বিপুল মুনাফার আশায় কিছু প্রতিষ্ঠান নিন্ম মানের এসব পিপিই তৈরি করছে। উপজেলার রাস্তা-ঘাটের ফুটপাতে, ফার্মেসিতে, ইলেকট্রিক দোকানে এমনকি মুদি দোকানেও বিক্রি হচ্ছে সুরক্ষাসামগ্রী। এসব সুরক্ষাসামগ্রীর অধিকাংশই সস্তা ও নিন্মমানের। যা কোন ভাবেই ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না বলে মনে করেন বিষেজ্ঞরা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিপিই’র পরিচিতির সাথে বেড়েছে ব্যবহার। এখন শুধু চিকিৎসকই নন, পুলিশ, সাংবাদিক, স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে অনেক সচেতন মহলই পিপিই ব্যবহার করছেন। কিন্তু নিন্মমানের এসব পিপিই সম্পর্কে তারা মোটেও অবগত নন। দামে সস্তা হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয় চাহিদা বাড়ছে। পাওয়া যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারেও। বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ ।
এ ব্যপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ মারুফ হক খান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পিপিই’র জন্য সুনির্দিষ্ট মান ও ব্যবহারবিধি রয়েছে। ব্যবহার শেষে যথাযথ নিয়মে তা বিনষ্ট করতে হবে। নিম্নমানের পিপিই দিয়ে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, বরং নিম্নমানের পিপিই’র যত্রতত্র ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন