নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট বেকারিতে হামলার সাথে জড়িত জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টগুলো অসন্তোষ সৃষ্টির পেছনে ইন্ধনদাতাতের যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান। তিনি বলেছেন, গুলশানে জঙ্গি হামলায় যে বিদেশীদের হত্যা করা হয়েছে তারা ছিল মূলত গার্মেন্টসের বায়ার। আরএমজি সেক্টর দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে। বাংলাদেশ নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আরএমজি সেক্টরকে ধ্বংস করে দিতেই ইতালিয়ান বায়ারদের হত্যা করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে জাপানিদের হত্যা করা হয়েছে। আমি দীর্ঘ বছর যাবৎ ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে জড়িত। আমরা লক্ষ করে দেখেছি, যখনই দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয় তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অন্য দিকে ব্যস্ত রাখতে গার্মেন্টস সেক্টরে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় কিছু লেজুড়বৃত্তিক উদীয়মান শ্রমিক নেতা গার্মেন্টের অবুঝ, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে শহরে অরাজকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। যদি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে হয় তাহলে তারা ওই কারখানার ভেতরে অবস্থান করেই কাজ বন্ধ করতে পারেন। তাহলে কেন তাদের রাস্তায় নামিয়ে আনা হয়, কেন তাদের শহীদ মিনারে সভা করতে হবে? নারায়ণগঞ্জ শহরে এত সমস্যার পরও কেন তাদের শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে হবে। এ বিষয়ে তাদের প্রশ্ন করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। আমরা মনে করি যারা গুলশানে কিলিং করেছে তাদের সহযোগিতা করতেই ওই সব উদীয়মান শ্রমিক নেতারা উদ্যোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। আমি তাদের আলোচনায় বসার আহ্বান রাখলেও তারা কোনো প্রকার সহযোগিতা করছেন না। আমি শেষবারের মতো তাদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেএমইএ কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। যদি তারা স্বেচ্ছায় আলোচনায় বসতে না চান তাহলে গোয়েন্দার মাধ্যমে খোঁজ নেয়া হোক এরা কারা? বুধবার ২০ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নিট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএর প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে তিনি এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সেলিম ওসমান একই সাথে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন