খুলনা ব্যুরো : খুলনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা শৈয়েবুর রহমান ঢালী ও তার ভাই আতিয়ার রহমান ঢালী হত্যা মামলায় ৭ চরমপন্থীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আল-মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) দ-প্রাপ্ত ৭ জনের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। আর মামলার অপর তিন আসামি পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান আব্দুর রশিদ, দলের সদস্য মো. সাঈদ ওরফে কালা সাঈদ ও মোকাইম মোল্লা তিনজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। পলাতক দুইজন হলেন চরমপন্থী দলের সদস্য হারুন শেখ ও মিজান শেখ। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় থাকা পাঁচ চরমপন্থীর সদস্য হলেন-এসকেন মোল্লা, মনিরুল মোল্লা, আব্দুর রহিম মোল্লা, কাওছার মোল্লা ও সোবহান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. এম.এম সাজ্জাদ আলী মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার দুর্জনীমহল গ্রামের শহীদের মোড় নামক স্থানে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন শৈয়েবুর রহমান ঢালী ও তার ভাই আতিয়ার রহমান ঢালীসহ ১৫/২০ জন। চরমপন্থী দল পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) প্রধান আব্দুর রশীদসহ ৪০-৫০ জন এ সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। গুলিবিদ্ধ হন চরমপন্থী শৈয়েবুর ও তার ভাই আতিয়ারসহ দলের লোকজন। আহতদের খুলনা জেনারেল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন ১৬ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শৈয়েবুর রহমানের লাশ দুর্জনীমহল গ্রামের সাঈদ ঢালীর পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। একই দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আতিয়ার রহমান ঢালী।
এ ঘটনায় নিহত শৈয়েবুর রহমান ঢালীর স্ত্রী মোসাম্মৎ নাজমা বেগম ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপসা থানার এসআই আনিসুর রহমান ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন