বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ

প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : পবিত্র কুরআন তালিমের অন্তরালে কুরআন ও হাদীসবিরোধী কুৎসিত কদাকার বিষয় অপপ্রচারের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মনোহরদীর ধরাবান্দা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে মনোহরদী থানা পুলিশ তাকে কোর্টে চালান দিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড দাবী করেন। কোর্ট পুলিশের বক্তব্য শুনানী শেষে তার জামিন আবেদন বাতিল করে তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, ধৃত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন তার বসত বাড়িতে কুরআন তালিম ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খামারের অন্তরালে কুরআন-হাদীসের বিরুদ্ধে কুৎসিত কদাকার মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ ঘৃণা ও শত্রুতার মনোভাব সৃষ্টি করে উষ্কানিমূলক অপরাধ করে রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের ক্ষতিসহ নাশকতামূলক কর্মকা- করার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬ (২)/২৫-ঘ ধারার নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই মামলায় আরো আসামী করা হয়েছে সত্য কখনো গোপন থাকে না বই’র লেখক আমিরুল ইসলামকে। গ্রেফতারের সময় অধ্যক্ষ মতিন আমিরুল ইসলাম ও তার অন্যান্য সহযোগীরা গোপন বৈঠকে লিপ্ত ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়। তারা আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশের বক্তব্য শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত পালিয়ে যাওয়া আসামী আমিরুল ইসলামসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
এদিকে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হয়ে কুরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে ইহুদী নাসারা ও কাদিয়ানী ধরনের কদাকার প্রচারনার কথা উল্লেখ করে থেকে স্থানীয় জনগণ বলছে, মোটা অংকের টাকার লোভে অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচারনায় নেমেছে। অধ্যক্ষ মতিন ছিলেন একজন সাধারণ ঘরের মানুষ। অথচ এই কুরআন-হাদীসবিরোধী প্রচার-প্রোপাগান্ডার পর তার আর্থিক অবস্থা ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যায়। সে অল্প কয়েক দিনে ব্যাপক বিত্ত ভৈববের মালিক বনে যায়। এলাকার লোকজন জানিয়েছে তার একটি বিশাল গরুর খামার রয়েছে। এই খামারে গরু রয়েছে কমবেশী ৫শ গুরু ছিল। আব্দুল মতিন গোপন সংগঠনের সাথে জড়িত হবার পর সে কুষ্টিয়ায় একটি বিয়ে করেন। সেখান থেকেই গরুগুলো আমদানি করা হয়।
একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, তিনি ঢাকায় একটি বিদেশী এজেন্সির সাথে কথা বলেন এবং তাদের কথামত তিনি হঠাৎ এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান। তখন তার পরিবারের লোকেরাও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। তিনি কোথায় যান তা কাউকে তিনি জানতে দেন না। এলাকার লোকজন আরো জানিয়েছেন, হঠাৎ হঠাৎ তার বাড়ীতে দামী গাড়ী নিয়ে কিছু লোকজন আসা-যাওয়া করে। ভয়ে লোকজন তার বাড়ীর আশেপাশেও যেতে পারে না। আগন্তুকরা ঘণ্টাখানেক বসে আলাপ-আলোচনা করে খাওয়া-দাওয়া করে আবার চলে যায়। এমনইভাবে কয়েকবছর ধরে অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন একটি রহস্যজনক জীবনযাপনে লিপ্ত রয়েছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন