সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কাঁচাবাজার সরানোর কাজটি শুরু হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। এ মডেল এখন সারাদেশে। করোনায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে ত্রাণ বিতরণ, ওএমএস ও টিসিবির পণ্য কেনাতে পথ দেখিয়েছে এ উপজেলা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের ব্যতিক্রম সব উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে। দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত, রিলিফ চোর ধরাও চলছে। ঘরে ঘরে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় নেয়া হয়েছে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এতে কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে, আবাদও বাড়ছে। করোনার ব্যস্ততার মধ্যেও মাছের ব্যাংক হিসাবে পরিচিত হালদা সুরক্ষা চলছে অভিযান। হাটহাজারীতে নেয়া এসব উদ্যোগ এ জেলার অন্য ১৪টি উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনুসরণ করা হচ্ছে। খুশি হাটহাজারীর সাধারণ মানুষও।
হাটহাজারী এখনও করোনামুক্ত। মহামারী ঠেকাতে শুরু থেকেই মাঠে প্রশাসন। ঘরে থাকা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় চলে অভিযান। অভিযানে পন্ড হয় পিকনিকসহ সামাজিক আয়োজন।
ত্রাণ চুরি রোধে কঠোর অবস্থান। ধরা পড়ে বরখাস্ত হন সরকারি দলের এক ইউপি চেয়ারম্যান। টিসিবির পণ্য বাজারে বিক্রির দায়ে জরিমানা করা হয়। জব্দ সয়াবিন তেল বিলি হয় ত্রাণের সাথে। হাট বাজারে খোলা হয়েছে কৃষক কর্নার। সেখানে কৃষক তার ফসল বিক্রি করছে। সরকারি ত্রাণের সাথে দেয়া হচ্ছে তাজা সবজি। এতে দরিদ্ররা সবজি পাচ্ছে, কৃষক পাচ্ছে ন্যায্য দাম।
হালদায় মা মাছেরা এখন ডিম ছাড়ার অপেক্ষায়। সেখানেও শিকারিদের উৎপাত। অভিযানে ধ্বংস করা হয়েছে জাল। নদী পাড়ে ডিম সংগ্রহের অপেক্ষায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজারো মানুষ। তারাও পেয়েছে খাদ্য সহায়তা কার্ড।
প্রশাসনের এসব ভালো কাজে একাত্ম জনপ্রতিনিধিরা। এতে দূর হয়েছে সমন্বয়হীনতা। সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এমন সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। সবার সহযোগিতা পাচ্ছি এটাই বড় কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন