প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমণে বিশে^র কোটি কোটি মানুষের মতো আমাদের একপ্রকার ঘরবন্দি অবস্থায় প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য এসেছে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও সংযমের মাস পবিত্র রমজান। চলাফেরা ও আচার-আচরণে বিশৃঙ্খলা এবং খাবারে বিলাসিতা পরিহারের এটি সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত সময়। অপচয় ও বিলাসিতা বিসর্জন দিয়ে গরিব, অসহায় ও হতদরিদ্রদের ক্ষুধা ও সীমাবদ্ধতার ব্যাথা অনুভব করে প্রকৃত মানবিকতা চর্চার মূল্যবান বার্তা নিয়ে আসে রমজান। তবে, মার্চের শুরুতে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর হতে ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। অপ্রত্যাশিত এই সঙ্কট ঠিক কতদিন স্থায়ী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। তবে সংক্রমণের স্থায়িত্ব যত লম্বা হবে ততোই বাড়বে ক্ষুধাতুরদের অসহায়ত্বের আখ্যান। সরকারের একার পক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি যথাযথভাবে সামাল দেওয়া অনেকটাই কঠিন। এজন্য নিজ নিজ জায়গা হতে সচেতন ও সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর সংযম হতে পারে এমনই বিনিয়োগহীন একটি সময়োপযোগী সাহায্য। সামর্থ্যানুযায়ী সহায়তা বা দান করার পর নিজেদের ভোগেও সংযম রক্ষা করলে বাজারে চাপ কমবে। নিয়মিত রুচি, চাহিদা ও খাদ্যাভ্যাসের সাময়িক পরিবর্তনের ফলাফল দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক হতে বাধ্য। পাশাপাশি সংযম দরকার চলাফেরায়। তাই, বিনীত অনুরোধ, চলাফেরা ও খাবার গ্রহণে আসুন সবাই সংযমী হই।
সহকারী শিক্ষক, ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্দরবান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন