ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চলতি বোরো মওসুমে বেগুনী জাতের ধানের আশাতীত ফলনে কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই খুশি। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ধানের মাঝে বেগুনী রঙের ধান সহজেই নজর কাড়ছে সকলের আর এ কারণেই স্থানীয় কৃষকরা এই ধানের নাম রেখেছেন ‘মাঠের রানি’।
উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া ব্লকের কৃষক চাঁন মিয়ার জমিতে প্রথমবারের মত এ ধানের চাষ করা হয়েছে। এ অঞ্চলে নতুন প্রজাতির এ ধানের জমি দেখতে প্রতিদিন ভীড় করেন অনেক মানুষ। ইতোমধ্যে বেগুনী ধানের ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এ জাতীয় ধানে অধিক মাত্রায় অ্যান্থোসোয়ানিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে এ ধানের রঙ বেগুনী হয়। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানবেদেহের বার্ধক্য প্রতিরোধ, ক্যান্সারের ঝুঁকি, ডায়বেটিক ও আ্যালজাইমার রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বেগুনী ধান ব্রি-ধান ২৯ এর চেয়ে ৭ দিন আগে পাকে, প্রতি হেক্টরে ফলন ৬.৫ মে.টন এবং এ জাতীয় ধান চাষে অন্য ধানের চেয়ে পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় কৃষকের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
কৃষক চাঁন মিয়া জানান, আমাদের বøকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানার উৎসাহেই বেগুনী ধানের আবাদ করি। ফলন ভাল হওয়ায় এখন অনেকেই এ ধানের বীজ সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করছেন ।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, কৃষির উৎকর্ষ সাধনে আমরা প্রতিনিয়তই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও নতুন জাতের আবাদ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করি ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, বেগুনী ধানের চালে ভিটামিন বি১ ও থায়োমিন বিদ্যমান। ফলন উফশী ধানের মতোই, খেতেও সুস্বাদু, তবে চালে পুষ্টিমান বেশি ও পোকার আক্রমন কম হওয়ায় অনেকইে এ ধানের আবাদ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন