কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে সুমন হোসেনের স্ত্রী মিম খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । শনিবার দিবাগত রাতে ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ বছর আগে সুমন হোসেনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে মিম খাতুন ও সুমন হোসেন। স্বামী সংসার নিয়ে পাঁচ বছর যাবত সংসার করছে। স্বামীর ঘরে ছিল গৃহবধূ মোছাঃ মিম খাতুন (২২) স্বামী সুমন হসেন (২৪)। ৫ বছরের সংসার জীবনে তাদের কোন সন্তান ছিল না। আমবাড়ি ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে মিম খাতুনের শশুরবাড়ি। টুকিটাকি ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত বউ-শাশুড়ির। শনিবার রাতে শাশুড়ি ও বউ এর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীকে চড়থাপ্পড় দেয়। অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবি করছেন স্বামী সুমন হোসেনের মামা স্কুল মাস্টার মিজানুর রহমান।
খোকসা থানার ওসি জহুরুল আলম জানান, অপমৃত্যুর খবর পেয়েছেন। গোপগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই আব্দুর রাজ্জাককে পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহালের পরে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা? তবে প্রতিবেশীদের দাবি সুপরিকল্পিতভাবে মিম খাতুনকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহত মিম খাতুন এর বাবা নজরুল খানের দাবি তার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে জামাই সুমন হোসেন ও তার মা হত্যা করেছে। এ বিষয়ে জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, প্রেম করে তারা পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছিল। গতকাল শনিবার রাতে মিমের বাবা নজরুল খান এর উপস্থিতিতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন