মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের রাজানগর-নয়ানগর রাস্তা যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে উঠে পুরো রাস্তা। নয়ানগর মাদরাসা ব্রীজ থেকে টিএনআর মাঠ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচল দুরের কথা পায়ে হেটে পথচারীদের রাস্তা পাড়ি দেওয়াই দুরূহ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এ রাস্তায় রোগী নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ী চলাচল করতে পারছে না। উপরন্তু পথচারীদের চলাচল ব্যহত হচ্ছে। আবার রাজানগর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমির পাকা ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌছতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তার করুন দশার কারনে কৃষকের পাকা ধান কিনতে এ মুখো হচ্ছেন না কোন পাইকার। ফলে পাকা ধান বিক্রি করতে পারছে না কৃষককুল। পাশাপাশি এ রাস্তা দিয়ে রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় আর বাজারে যাতায়াতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এক কথায় রাস্তার বেহাল দশার কারনে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের বাঐখোলা, ফুলহার, সৈয়দপুর, মোহাম্মপুর, জাহাঙ্গীরনগর, গকুলনগর, মধুপুর ও নয়ানগর গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তি চরমে পৌছেছে।
জানা গেছে, এক বছর আগে রাজানগর-নয়ানগর রাস্তার এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় দুই হাজার ফুট অংশে ইট বিছানার কাজ করা হয়। মধ্যখানের প্রায় ৫০০ ফুট কাঁচা অবস্থায় থেকে যায়। এতে চলতি মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই ওই ৫০০ ফুট রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে উঠে। ফটিক দাসের মঠ থেকে ষোষের পুকুর পাড় পর্যন্ত ৫০০ ফুট কাঁচা রাস্তায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জনসাধারণ। একই সঙ্গে দুই হাজার ফুট ইট বিছানো রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ইট উঠে গেলে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং পিচ্ছিল হয়ে উঠে গোটা রাস্তা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপ্লব বলেন,রাস্তাটি সংস্কার হলে জেলা,উপজেলায় সহজেই যাতায়াত করতে পারব। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটির বেহাল দশার কারনে রোগী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনিসহ সাধারনের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে। চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আমার অনুরোধ রাস্তাটা যেন সংস্কার করে দেয়া হয়।
রাশেদুল সিকদার বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারনে রিকশা, অটোবাইকসহ ছোট-বড় কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারছে না। যাত্রীদের ঠেলে ঠেলে যানবাহন নিয়ে যেতে হয়। রাস্তার বেহাল থাকার কারনে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের একমাত্র এ রাস্তা অতি শিগগির সংস্কার করা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন হাদী বলেন, এ রাস্তা মেরামতের জন্য একটি আবেদন করা আছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে এখনো আমাদের এ নিয়ে বসা হয়নি। বরাদ্ধ আসলেই এই রাস্তাটি সংস্কার অগ্রাধিকার পাবে। উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ রাস্তার বিষয়ে যদি প্রস্তাব দেওয়া হয় তাহলে রাস্তা মেরামতের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন