শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

রাজধানীতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসে (জুলাই) শুধু ঢাকাতেই ২০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মাত্র ১৯ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্তের এই পরিসংখ্যান ভাবিয়ে তুলেছে চিকিৎসকদের। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য সংগ্রহ করার পর জানিয়েছে, চলতি বছর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মোট ৫২৫ জন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে ৪১ জন, মে মাসে ৭৬ জন, জুনে ১৮৩ এবং জুলাইয়ের প্রথম ১৯ দিনে ২০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত সোমবার ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে গুলশানের ইউনাইটেড হসপিটালে ৬ জন, ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হসপিটালে ১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন ভর্তি হয়েছেন। ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা জানা গেছে। ২০১৫ সালে মোট ৩ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এক বছরের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা। ২০০৭ সালের পর এত বেশি ডেঙ্গু রোগী আর দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সাইদুর রহমান বলেন, চলতি বছর বেশি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি জানান, ডেঙ্গু মূলত শহর-কেন্দ্রিক রোগ। তাই বেশিরভাগ আক্রান্ত রোগী ঢাকা শহরের বাসিন্দা। সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে এখনো ডেঙ্গু রোগের ভ্যাক্সিন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আমরা এখনো জানিনা বাংলাদেশের মানুষ ডেঙ্গু রোগের ভাইরাসের প্রতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে কি না। ডেঙ্গু ভাইরাস কোনো এলাকার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে ফেললে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাস স্ত্রী এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এডিস মশা স্বচ্ছ জমাট বাধা পানিতে জন্ম নেয়। এডিস ইজিপ্টি জাতের মশা শহরাঞ্চলে বংশ বৃদ্ধি করে।
এরা মূলত দিনের বেলা কামড়ায়। সকালে এবং বিকালের দিকে এডিস মশা কামড়ানোর হার সবচেয়ে বেশি। এজন্য এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দিনের বেলা ঘুমালেও মশারির ভেতর ঘুমাতে হবে। দিনের বেলায় সাধারণত শিশুরা বেশি ঘুমায়। এ জন্য শিশুদের ঘুমের সময় যাতে এডিস মশা কামড়াতে না পারে সেজন্য অবশ্যই মশারি টাঙ্গাতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন