স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালায় গত বুধবার নাট্য সংগঠন ‘তীরন্দাজ’ সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বাহাসের আয়োজন করে। সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা এবং এরপরই তীরন্দাজের ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’ নাটকের মঞ্চায়ন হওয়ার কথা থাকলেও শিল্পকলা একাডেমি অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তীরন্দাজের হল বরাদ্দ বাতিল করে। এ প্রসঙ্গে তীরন্দাজ নাট্যদলের প্রধান দীপক সুমন বলেন, শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ তীরন্দাজের নাটক কণ্ঠনালীতে সূর্য মঞ্চায়নের পূর্বে নাটকের বাইরে জাতীয় ইস্যু সুন্দরবন নিয়ে বাহাসের আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ধরনের আয়োজন নাকি শিল্পকলা একাডেমির দৃষ্টিতে বেআইনি (শিল্পকলার আইনের মধ্যে পড়ে না)। আমরা বললাম, ইতিপূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে শিল্পকলার মঞ্চে জাতীয় ইস্যুতে কথা বলতে দেখা গেছেÑ এ কথার উত্তরে তারা জানিয়েছেন, পূর্বের কোনো উদাহরণ এখন প্রযোজ্য হবে না। দীপক সুমন আরো বলেন, কথা বলার অধিকার হরণ করে তারা আগাম সতর্ক করে গেছেনÑ বিষয়টাকে সাংঘর্ষিক জায়গায় নেবেন না। আনু স্যারের সাথে কথা বলতে চাওয়া সংঘর্ষ হয় কী করে? বাংলাদেশে বা ঢাকায় অবস্থানরত তীরন্দাজের শুভাকাক্সক্ষী সকলকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাই। তীরন্দাজ আয়োজিত ‘বাহাস’-এ সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে এর ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরার কথা ছিল তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের। ‘বাহাস’ শেষে তীরন্দাজের নাটক কণ্ঠনালীতে সূর্য প্রদর্শনের কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ একটি চিঠির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়।
শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক প্রেরিত চিঠিতে লেখা আছেÑ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তীরন্দাজ নাটকের দলটিকে ‘অহেতুক বিসর্জন’ নাটকের জন্য হল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হল বরাদ্দ নীতিমালা অমান্য করে দলটি অন্য একটি নাটক মঞ্চায়নের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং মঞ্চায়নের পূর্বে মঞ্চায়িতব্য নাটক সংশ্লিষ্ট নয় এমন অনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বিষয়টি হল বরাদ্দ নীতিমালাবিরোধী। তাই তাৎক্ষণিকভাবে হল বরাদ্দ বাতিল করা হলো। দ্রুত জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণ ত্যাগের জন্য অনুরোধ করা হলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন