স্টাফ রিপোর্টার : তরুণ-তরুণীদের প্রতি বিশেষ যতœবান হতে অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সন্তানদের আগলে রাখার পরামর্শ দিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সন্তানরা দেশ ও জাতির সম্পদ। চোখের সামনে তাদের জীবন বিনষ্ট হতে দিতে পারি না। ধর্মের নামে ধ্বংত্মক মরণখেলায় তাদের ছেড়ে দেয়া যাবে না। আঘাত দিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করতে হবে। মানুষের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে, তারা অমানুষ। যা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, পরিবার-পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবার-পরিকল্পনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ডসহ স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা ও ফতোয়ায় সাধারণ মানুষ আর বিশ্বাস করে না। তারা আগের তুলনায় অনেক সচেতন। তিনি বলেন, মোট প্রজনন হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য থাকলেও বাল্যবিবাহ এক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হলে বাল্যবিবাহ নির্মূলে আমাদের জোরালোভাবে কাজ করতে হবে। পরিণত বয়সের আগে বিয়ের সঙ্গে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর বিষয়টিও জড়িত। তাই বাল্যবিবাহ নির্মূলের পাশাপাশি কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিবার-পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ৬৬ ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় যায় ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই। শতকরা ৩১ ভাগ গর্ভবতীর বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। অল্প বয়সে একজন নারী গর্ভধারন করলে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুঝুঁকিসহ নানা জটিলতায় ভোগেন। এটা জনমিতিক সূচকের অগ্রগতিতে একটা বড় বাধা। তাই মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার আরো কমাতে হলে বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে। অনুষ্ঠানের শেষে মিডিয়া কর্মীদের এ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন