শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ওরা কোথাও নেই

সারাদেশে প্রায় পৌঁনে এক লাখ জনপ্রতিনিধি ভোট ছাড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা নেই : অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

‘নেতৃত্ব মানে কঠিন সময়েও তোমার টিমকে তাদের (জনগণ) সেবা দিয়ে কিছু অর্জন করার জন্য অনুপ্রাণিত রাখতে পারা’ (ক্রিস হ্যাডফিল্ড)। নেতাদের নিয়ে বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিদের যখন এই উক্তি তখন করোনা যেন বাংলাদেশে পাল্টে দিয়েছে জনপ্রতিনিধিত্বের সংজ্ঞা। ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’ এর মতো জনগণকে করোনা সংক্রমণের বিপদে ফেলে রেখে জনপ্রতিনিধরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, জনগণের নেতারা জনপ্রতিনিধি না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগে প্রার্থীদের ভোটের জন্য ভোটারের কাছে যেতে হতো। ২০১৪ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি হতে হলে মানুষের কাছে যেতে হয় না। চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র, এমপি হতে এখন জনগণের ভোটের প্রয়োজন না হওয়ায় মানুষের প্রতি জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা নেই।

নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধি এবং এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার হবার দৌড়ে যারা সর্বদা ব্যস্ত হন; বিপদ-আপদে জনগণের পাশে থাকার ওয়াদা করেন; করোনা সংক্রমণ বিপদে তাদের দেখা নেই। লকডাউনে কর্মহীন মানুষ; সবকিছু বন্ধ থাকায় নিম্নআয়ের মানুষ কষ্টে আছেন। কেউ জনপ্রতিনিধিদের দেখা পাচ্ছেন না। অথচ নির্বাচনের সময় তাদের জনদরদী হতে দেখা যায়। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, ‘নেতা মানে যে অন্যদের মনে আশা জাগিয়ে রাখতে পারে’।

যে প্রক্রিয়ায় ভোট হোক না কেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ জনগণের সেবা দেয়া। সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রয়েছেন ৪৫৭১ জন। মেম্বার ৪১১৩৯ জন এবং মহিলা সদস্যের সংখ্যা ১৩৭১৩ জন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ৪৯২ জন, সদস্য ৯৮৪ জন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ৬১ জন, সদস্য ৯১৫ জন এবং সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ৩০৬ জন। সারাদেশে ১২টি সিটি কর্পোরেশনে মেয়র, কমিশনার, মহিলা কমিশনার রয়েছে কয়েক হাজার। এর বাইরেও রয়েছে ৩৩০টি পৌরসভা। সেখানে রয়েছেন মেয়র, কমিশনার ও নারী সদস্য। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনসহ সংসদ সদস্যের সংখ্যা ৩৫০। হিসাব করলে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্যের সংখ্যা ৬২ হাজার ১৮১ জন। এ ছাড়াও ১২টি সিটি কর্পোরেশন, ৩৩০টি পৌরসভা জনপ্রতিনিধি কয়েক হাজার। জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন এমপিসহ জনপ্রতিনিধির সংখ্যা প্রায় পৌনে এক লাখ। এদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরবন্দি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এমন সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগেরও কম। অথচ নির্বাচন এলেই এদের দৌড়ঝাপ বেড়ে যায়; জনগণের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেন।

দেশে করোনা সংক্রমণের পর জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম আলোচনায় আসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব প্রতাবী গ্রামের রেজান মিয়ার পুত্র মুহিন আহমদ ফোন করে সুলতান মনসুরকে এলাকায় গিয়ে ত্রাণে দেয়ার অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুলতান মনসুর বলেন, ‘এলাকায় গিয়ে আমি কি তোর বোনকে বিয়ে করবো’। মুহিনের সঙ্গে সুলতান মনসুরের ৩ মিনিটির ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও জনসেবার প্রমাণ দিতে টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মানির কৃষকের কাঁচা ধান কেটে সে দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে মিডিয়ায় প্রচার করে ভাইরাল হয়েছেন। একজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন এমপিসহ চারজন জনপ্রতিনিধি সুনামগঞ্জের হাওরে ক্যামেরার সামনে ধান কাটার দৃশ্য ধারণ করেও আলোচনায় এসেছেন।

বিপরীত চিত্র রয়েছে। করোনার হটস্পট নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের (মাসদাইর, সাব্বির আলম খন্দকার সড়ক) কাউন্সিলর মকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আত্মমানবতার সেবায় দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে। মানুষ যখন করোনা সংক্রমনে মৃত্যুদের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন; তখন তিনি জীবনের ঝুকি নিয়ে করোনায় নিহতদের কবর দিচ্ছেন; হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিজেই মুখআগ্নি্ করে শ্বশানে দাহ করছেন। তার এই মানবসেবার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তিনি বিশ্বমিডিয়ায় খবর হয়েছেন।

চীনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে যখন সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন তখন পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২১ মার্চ বাগেরহাট-৩, গাইবান্ধা-৩ ও ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। করোনার মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের প্রচারণা চলে মাসব্যাপী। ২৯ মার্চ ভোটের কয়েকদিন আগে জনগণের চাপে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে বাধ্য হন। নির্বাচন নিয়ে যাদের এতো আগ্রহ সেই নেতা, নেত্রী এবং নির্বাচিত হওয়ার পর জনপ্রতিনিধিরা করোনায় বিপর্যস্ত জনগণের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না। জনপ্রতিনিধিরা গেলেন কোথায়? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমপিদের অধিকাংশ ঢাকায় এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের নিরাপদে রাখতে ব্যস্ত। যারা করোনায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন তাদের কেউ ত্রাণের তালিকা তৈরিতে দলীয়করণের অভিযোগে অভিযুক্ত। কেউ ত্রাণ চুরি করে বরখাস্ত।

দেশে জনপ্রতিনিধি হওয়ার দৌড়ে নেতা-নেত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের চার হাজারের বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়। একটি আসনে সর্বোচ্চ পঞ্চাশজন পর্যন্ত এমপি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেয়র এবং ওয়ার্ডে ৫ থেকে ১০জন কাউন্সিলর হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। করোনা সঙ্কটে এদের শতকরা ১০ ভাগ নেতাকে পাশে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

অন্যদিকে বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি কার্যত ‘সরকারের নাচের পুতুল’। সরকার যেমনি নাচায় তেমনি নাচে। মাঝে মাঝে দিল্লিকে খুশি রাখতে বিবৃতি দেয়। আর মাঠের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপির অবস্থাও প্রায় অভিন্ন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পাঁচ হাজারের বেশি নেতা মনোনয়নের দৌড়ে ছিলেন। এর বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক দলগুলোর এক হাজার নেতা ছিলেন ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে। এদের খুব কম সংখ্যক নেতা করোনায় নিজ নির্বাচনী এলাকার বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা সংকটে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দলীয় আহবানে সাড়া দেননি বেশির ভাগ নেতাকর্মী।

ত্রাণ চুরি ঠেকানো আর জনপ্রতিনিধিদের জনগণের সেবার প্রতি অনিহার কারণে আমলাদের মাধ্যমে সরকার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের ৬৪ জেলায় সচিব পর্যায়ের আমলাদের ত্রাণ বিতরণে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার প্যাঁচে সময়ক্ষেপনের মাধ্যমে ত্রাণ পাওয়া উপযোগী ক্ষুধার্ত মানুষের তালিকা করছেন ধীরগতিতে।

ক্ষেতমজুর সঙ্কটের কারণে হাওড়ে ধান কাটা সংকট সৃষ্টি হলে কিছু জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের টিভি ক্যামেরার সামনে ত্রাণ বিতরণে ও কৃষকের ধান কাটার দৃশ্য ধারণের চিত্র দেখা যায়। কয়েকটি জেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ এমনকি মহিলা লীগের নেতানেত্রীরা কৃষকের ধান কাটছেন। কলকাতার টিভিরগুলোর ধারাবাহিক সিরিয়াল নাটকের মতো সে দৃশ্য টিভিতে দেখানো হচ্ছে। ফেসবুকে তুমুল প্রচারণা। এ প্রসঙ্গে সুজনের সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় প্রকৃত জনপ্রতিনিধ নির্বাচিত না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের ভোটের জন্য জনগণের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন না পড়ায় এ অবস্থা। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
Nazma Begum ১২ মে, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
স্যার জেলে ভরবে। উচিত কথা বলা নিষেধ। করোনায় সাইজ হবে। ধৈর্য ধরুন।
Total Reply(0)
Aslam Uddin ১২ মে, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
দায় দায়িত্ব পালন করলেও কি নেই দায়বদ্ধতা? আপনার লেখা সঠিক হয় নাই জনাব।
Total Reply(0)
Kamal Pasha Jafree ১২ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
ওরা চুরি করার ধান্ধায় আছে।
Total Reply(0)
Jalal Priti ১২ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
বেপারী সাহেবের হিসাব মতে শুধু সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন প্রায় ১৫০০০ হাজার
Total Reply(0)
Abdur Rob Nishat ১২ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
বেপারী সাহেব,আপনিওতো জননেতা-,আপনার কি কোনো দায়বদ্ধতা নেই?
Total Reply(0)
Md Sohel Rana ১২ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
অনেকে দামি কথা কিন্তু বাংলাদেশে নেতা নাই
Total Reply(0)
MD Rashadul Hasan ১২ মে, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের বিপদের দিনে টাকাওয়ালাদের বেশিরভাগই পাশে নেই। নামিদামি এনজিও, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক ও ট্রাস্ট, মোবাইল কোম্পানি এবং ব্যাংকিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সিংহভাগই দেশবাসীর অসহায় দিনগুলোতে কোনো মানবিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেনি।
Total Reply(0)
মোঃ তোফায়েল হোসেন ১২ মে, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
অনেক বিত্তশালী ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেও এখনো পর্যন্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
Total Reply(0)
কাজী হাফিজ ১২ মে, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
দেশের মানুষের দুর্দিনে পাশে নেই অনেক জনপ্রতিনিধি। যার মধ্যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এমনকি অনেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই মাঠে অনুপস্থিত।
Total Reply(0)
মেহেদী ১২ মে, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 1
জনপ্রতিনিধিদের এখন সবচেয়ে আরাম-আয়েশের জীবন কাটছে। বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে ওদের ভালোই মাস্তি চলছে। যত কষ্ট সাধারণ মানুষের।
Total Reply(0)
হাসান মুনাব্বেহ সাআদ ১২ মে, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
এই দুর্দিনে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন তারা এক অজানা করোনায় আক্রান্ত হয়ে অজানা কোয়ারেন্টাইনে আছেন।বাঘা বাঘা নেতা জনপ্রতিনিধিরা যে কোথায় তা ও বলা মসকিল।অবস্থার উন্নতি হলে এরা ধরাচুড়া পড়ে জনসমখ্খে উপস্থিত হবে....।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১২ মে, ২০২০, ৯:১৩ এএম says : 1
আজকে স্টালিন সরকার যে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন সেটা মোটেও তারমতো একজন তীক্ষ্ণধার লিখকের জন্যে শোভা পায়নি। আমি এবার উনাকে ধন্যবাদ জানতে না পারায় দুঃখ পেলাম এটা সত্য। আমি ওনার লিখায় দ্বিমত পোষন করছি তাই এখানে আমার কিছু লিখা প্রয়োজন পাঠকদেরকে বুঝানোর জন্যে। আমাদের দেশের নেতারা অন্যান্য দেশের নেতাদের মতকরেই কাজ করে যাচ্ছেন জনগণের জন্যে এটা আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ পড়লেই বুঝতে পারবো। এখানে কথা হচ্ছে বাংলাদেশের কোন এলাকায় কোন যায়গায় করোনা মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে?? বা কোথায় সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে আছে কিনা সেটাই দেখার বিষয় তাই না?? কোন প্রতিনিধি কোন পদ্ধতীতে (প্রক্রিয়ায়) কাজ করছেন সেটা দেখার বিষয় নয় তাই না?? আমাদের দেশে এখন প্রত্যান্তঞ্চলেও সাংবাদিক রয়েছেন, প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচুর সত্য মিথ্যা করোনার সংবাদ পাচ্ছি। আমার সঙ্গতির কারনে আমি এসব সংরক্ষিত করতে পারছিনা ঠিকই কিন্তু খবর আসছে বা আসে এতে দেখা যায় আমরা মিথ্যা সংবাদ গুলোও যদি সত্য হিসাবেও ধরে নেই তারপরও বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ন যেকোন দেশের থেকে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভাল এটাই দেখতে পাই এই প্রবাসে বসে। আর যখনই এদিক থেকে দেশ এগিয়ে থাকবে তখনই আমরা বুঝতে পারি সরকার কতটা শক্ত বা যোগ্য হলে এটা সম্ভব হয়েছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে এটা পরিষ্কার আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিরা অবশ্যই ভাল ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন সেটা কিভাবে (প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তারা অন্য লোক দিয়ে ত্রাণের কাজ করাচ্ছে) দেখার বিষয় নয় তাই না?? দেখার বিষয় হচ্ছে করোনায় দেশ কতটা আক্রান্ত সেটাই বিবেচিত হবে তাই না?? কাজেই এখানে পরিষ্কার জনপ্রতিনিধিরা সজাগ বলেই দেশ আজ করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভাল অবস্থানে রয়েছে। ..................................। কাজেই আমি মনেকরি আমরা যারা লিখা লিখি করি আমাদেরকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এখানে একটা কথা মনে হয়েছে সেটা আমি বিশেষ করে আমাদের এই প্রতিবেদন লিখায় যারা মনে আনন্দ পেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই যে নির্বাচন নিয়ে আপনারা এতকথা লিখছেন তারপরও বিশ্ব দরবারে সেটা সেভাবে গৃহীত হচ্ছে না এর অবশ্যই একটা কারন আছে আর সেই কারণটা হচ্ছে আপনাদের এধরনের অপলিখাই দায়ী...... মানে হচ্ছে সেই রাখালের বাঘ এসেছে বাঘ এসেছে মানুষ সাহায্য করতে এসে ধোকা খেয়ে যখন সত্যই বাঘ এসেছে তখন আর রাখালের ডাকে কেহই সারা না দেয়াতে রাখলের মৃত্যুর মত আমাদের নির্বাচন...... আল্লাহ্‌ পাক আমাকে সহ সবাইকে সত্য জানা, বুঝা ও সেই ভাবে নিজেকে পরিচালনা করার যোগ্যতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
No Name ১২ মে, ২০২০, ৯:৫৯ এএম says : 0
নেতি কথা সবাই বলতে পারে । কিন্তু নিজের বিবেক দিয়ে কেউ নিজের দায়িত্ব পালন করে না ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন