স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থার আওতায় আসা মানুষের সংখ্যা বাড়লেও প্রতিবন্ধীবান্ধব স্যানিটেশন ব্যবস্থা এখনো সম্ভব হয়নি। একই সঙ্গে স্যানিটেশন ব্যবস্থার তদারকি অত্যন্ত দুর্বল। বর্তমানে ৬১ শতাংশ পরিবার স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনের আওতায় এলেও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনে সবার জন্য স্যানিটেশন সুবিধা, পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার সারাদেশে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নীতিমালা ও কৌশল নির্ধারণ করলেও এর বাস্তবায়নে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
গতকাল জণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন কোলাবরেটিভ কাউন্সিল (ডব্লিউএসএসসিসি) বাংলাদেশ আয়োজিত কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৭-২০২০ প্রণয়নে ন্যাশনাল কনসালটেশন (বাংলাদেশ)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডব্লিউএসএসসিসি আগামী ৪ বছরের জন্য যে কৌশলগত পরিকল্পনা করছে তার অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে জর্জরিত। প্রতি বছর দুর্যোগে দরিদ্র মানুষের স্যানিটেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়, যা সরকারের ওপেন ডেফিকেশনমুক্ত আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করে। আর তাই দেশে মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা এবং প্রয়োজন একটি বিজ্ঞানসম্মত ডাটাবেজ তৈরি করার কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়, এমডিজি লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে স্যানিটেশন সুবিধায় বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনের আওতায় রয়েছে। ২০০৩ সালে ৩৩ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওতায় ছিল। বর্তমানে তা ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: ওয়ালী উল্লাহ বলেন, দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থার সাফল্যে এমডিজি থেকে এসডিজিতে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ। এখন এসডিজি বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এসডিজি অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ১৭টি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য স্যানিটেশন সুবিধা, পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা করবে সরকার। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টিতে পৃথক লক্ষ্য নিয়ে সমন্বিতভাবে সকলকে কাজ করতে হবে। ওয়ালী উল্লাহ বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্যাকোসান-৬সহ বিভিন্ন সময়ে ডব্লিউএসএসসিসি সরকারকে যেভাবে সহায়তা করছে তা প্রশংসার দাবিদার। উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রবর্তনে এ কার্যক্রমকে আরো প্রসারিত করার আহ্বান জানান।
ফানসা বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক মো: ইয়াকুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন