প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী দু’দিনে মালদ্বীপ ও কুয়েত থেকে ৮শতাধিক প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরছে। কুয়েতের চারটি অস্থায়ী ক্যাম্পে ও মালদ্বীপে আরো ৫ সহস্রাধিক বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফেরার জন্য প্রহর গুণছে। কুয়েত সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশটির ক্যাম্পগুলোতে অবৈধ প্রবাসী কর্মীরা দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। কুয়েত সরকারের বিশেষ বিমানেই তারা দেশে ফিরছেন।
মালদ্বীপ সরকার দেশটিতে কর্মহীন বাংলাদেশিদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাপ দিচ্ছে। মহামারীর সঙ্কটকালে দেশটিতে এসব প্রবাসী কর্মীরা চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছে। গত সপ্তাহে চারটি ফ্লাইট যোগে কুয়েত থেকে ৬শ’ অবৈধ কর্মী দেশে ফিরেছে। দেশটির ক্যাম্পে অপেক্ষমান বাকি বাংলাদেশি কর্মীদের শিগগিরই ফেরত পাঠাবে কুয়েত সরকার।
মহামারী সঙ্কটকালে মালদ্বীপে ঘরবন্দি প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যে মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় ফিরে আসতে দেড় সহস্রাধিক প্রবাসী কর্মী নিবন্ধন করেছে। করোনার কারণে নিবন্ধনকৃত এসব কর্মীকে পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মালদ্বীপ থেকে প্রবাসী কর্মীরা ২৫০ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মালদ্বীপে লকডাউনের কারণে অফিস-আদালত শিল্প-কারখানা হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবকিছুই বন্ধ থাকায় প্রবাসী কর্মীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা খাদ্যের সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় জীবন-যাপন করছেন। বাংলাদেশ সরকার থেকে ওইসব প্রবাসীদের জন্য খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রয়োজনের জিনিস পাঠানো হয়। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে যারা অবৈধ রোজ বা সপ্তাহের ভিত্তিতে কাজ করতেন এবং যারা বিভিন্ন অপরাধে জেলে রয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন