শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সবুজের সমারোহ

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

মহামারী রূপে দেখা দেয়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে পড়ে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে একসময়ের চিরচেনা যানজটের দৃশ্য পাল্টে বর্তমানে কারোনাভাইসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মহাসড়কটিতে যানবাহনশূন্য হয়ে পড়েছে।

দূরপাল্লাসহ জেলা পর্যায়ের কোন যাত্রীবাহী বাস টানা গত প্রায় দুই মাস চলাচল করতে না পাড়ায় মহাসড়কে বায়ু দুষণের মাত্রা কমে যাওয়ায় মহাসড়কের উভয়পাশের গাছগুলো সবুজে সাজতে শুরু করেছে। মহাসড়কের পাশে রাধাচ‚ড়ার পাতাগুলোতে নতুন করে রঙ লাগিয়েছে। পাতারা তাই আরও উজ্জ্বল, সবুজ, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর, কিন্তু এ প্রকৃতি যেন একাই সেজে বসে আছে। সড়কের পাশের গাছগুলোর দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। এর আগে কোন দিন মহাসড়কের পাশের এই গাছগুলোকে সবুজের এমন উজ্জ্বলতা ছাড়াতে দেখেনি কেউ। চোখ চেপে ধরা এমন সৌন্দর্য নিয়ে গাছে গাছে যেন নতুন পাতার মেলা বসেছে।

মহাসড়কের কয়েক’শ কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে সারি সারি হৈমন্তী, কুর্চি, টগর, রাধাচ‚ড়া, কাঞ্চন, সোনালু, কৃষ্ণচ‚ড়া, কদম, বকুল, পলাশ, কবরী, ক্যাসিয়া ও জারুল জাতের গাছগুলোও তেমনি তারুণ্য ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই বাড়ি কামরুল ইসলামের। তিনি জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করেন। তার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, দীর্ঘদিন মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকায় বায়ু দূষণ ও গাড়ির কালো ধোঁয়া থেকে রক্ষা পাওয়ায় প্রকৃতি এবার নতুন করে সেজেছে। তিনি বলেন, তার বাড়ির পাশের পাঁচটি নিমগাছে গত চার বছর ধরে প্রায় ফুল আসা বন্ধ হয়েছিল। এবার সেই পাঁচটি গাছে বাঁধভাঙা ফুল ফুটেছে।

উদ্ভিদবিজ্ঞানী অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন বলেন, এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের গাছগুলোতে তিনি এত ফুল দেখেননি। তিনিও ধারণা করছেন করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে প্রকৃতি যেন তার নিজস্ব পরিবেশ ফিরে পেয়েছে। তাই গাছে গাছে পাতার সমাহার বেশি। বৃষ্টি হয়নি, তবু সে পাতায় ধুলার দাগ পড়েনি। মলিন হয়নি। তাই এত উজ্জ্বল মনে হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়েই যে কারো যেতে যেতে মনে হবে, সড়কের দুই পাশের সারি সারি গাছের পাতারা প্রাণের উল্লাসে নিজেরাই শুধু গাইছে, ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরও আরও আরও দাও প্রাণ।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Himel Khan ১৬ মে, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
Beautiful scenery
Total Reply(0)
Mahfuzur Rahman ১৬ মে, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
দেশের সব মানুষগুলো যদি ফুলের মত পবিত্র ও সবুজের সতেজ হতো কতোইনা ভালো হতো।
Total Reply(0)
জোবায়ের আহমেদ ১৬ মে, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
ধন্যবাদ ইনকিলাব। অনেক সুন্দর দৃশ্য
Total Reply(0)
মেহেদী ১৬ মে, ২০২০, ১:২৬ এএম says : 0
নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে তো মন চাচ্ছে একটু ঘরে আসি।
Total Reply(0)
কাজী হাফিজ ১৬ মে, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
করোনা মহামারি প্রকৃতির জন্য কতটা আশির্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অনেক সুন্দর দৃশ্য।
Total Reply(0)
মশিউর ইসলাম ১৬ মে, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
দেখে মন জুড়িয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য বিরাজ করছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন