রেল কার্গোর অনুমতি চেয়ে এনবিআরে জরুরি চিঠি
ভারতের বনগাঁয় পার্কিং সিন্ডিকেটের দাপটে টানা দু’মাস ধরে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। যদিও বেনাপোল কাস্টমসহাউস ও বন্দর সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। ওপারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মূলত বনগাঁর নেতাদের চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যেকার দ্ব›দ্ব এই অচলাবস্থার কারণ।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল চৌধুরী এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্ষতি পোষাতে আমরা অবাধে সাইডডোর ও এফসিএলসহ সব ধরণের রেলকার্গো বেনাপোল দিয়ে আমদানি ও খালাসের অনুমতি চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে জরুরি চিঠি দিয়েছি। এর আগে কাস্টমস, স্থলবন্দর ও ব্যবসাবান্ধব রেলকার্গো চালুর জন্যে ত্রিপক্ষীয় সুপারিশও পেশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্য, কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। আমদানিকারকরা চীন ও ইউরোপের পরিবর্তে ভারত থেকে পণ্য ও কাঁচামাল আনতেই বেশি আগ্রহী ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। কিন্তু ওপারের সিন্ডিকেটের দাপট, হয়রানি ও বিলম্বের কারণে তারা বেনাপোল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সে কারণে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকৃতি ভারতীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে বেনাপোলে রেলকার্গো চালু অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, ট্রাকে পণ্য বেনাপোল আনতে যেখানে ৫ থেকে ৭ দিন লাগে সেখানে রেল কার্গো পৌঁছাতে লাগবে মাত্র ৩ ঘন্টা। বাকি কয়েক ঘন্টায় শুল্কায়ন ও খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। গতকাল বুধবার চালবীজের ৭৭৫ মে.টনের চালান ২ঘন্টায় শুল্কায়ন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন