ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ৮ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধসহ ১৩ কিলোমিটার মাটির রাস্তা বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সমস্ত বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধে জিও ব্যাগের ড্যাম্পিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্মকর্তা। জেলায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির আশংকা।
এদিকে আম্পানের তাণ্ডবে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৩৫১টি বসত-ঘরের আংশিক ক্ষতি সহ ১ টি ঘর ও একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার টিনের ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়। এছাড়াও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৫০ হেক্টর সবজি ক্ষেতের ক্ষতি সহ ১৭৭ টি পুকুর ও ১ টি চিংড়ি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়াও কৃষকের ৯৬টি গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া ও হাঁস-মুরগী জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ ইলিয়াস মিয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মেঘনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার শহররক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হতে দেখা যায়। এছাড়াও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট এলাকা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাস বইছে। বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ এলাকাতে পাউবোর নির্দেশে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা জিও ব্যাগ ফেলে ড্যাম্পিং করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, মেঘণার পানি বিপদসীমার ১.৩৫ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরনিজাম, কলাতলীর চর ও কাজীর চরের ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের মেরামত কাজ চলছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন ভোলায় অতি জোয়ারের কারনে ২০ টি পয়েন্ট ক্ষতি হয়েছে।
মনপুরা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস মিয়া জানান, ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা করে জেলায় পাঠানো হয়েছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে চরনিজাম, কলাতলীর চর ও কাজিরচরে ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। দূর্গত এলাকা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শুকনো খাবার দিতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন